গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন কট্টরপন্থি নেতা ও দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি ইব্রাহিম রাইসি। পশ্চিমা দেশগুলোর কঠোর সমালোচক এই নেতা আগামী ৩ আগস্ট বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেবেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সোমবার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে ইব্রাহিম রাইসি ওয়াশিংটনের সঙ্গে তেহরানের পরমাণু আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তার সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাতের কোনো সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন তিনি।
তবে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি সোমবার জানিয়েছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে ইরানে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও দেশটিতে পরিবর্তন আসবে সামান্যই। কারণ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিই মূলত সকল ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।
সাংবাদিকদের তিনি জানান, ‘ইরানের সঙ্গে বর্তমানে আমাদের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। এমনকি উভয় দেশের প্রেসিডেন্টের সাক্ষাতের কোনো পরিকল্পনাও নেই। আমরা মনে করি, সর্বোচ্চ নেতা খামেনিই মূলত দেশটির নীতিনির্ধারক।’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ইব্রাহিম রাইসি ৬১ দশমিক ৯৫ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানে এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে। মাত্র ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। ইব্রাহিম রাইসি মোট ২ কোটি ৮৯ লাখ ৩৩ হাজার ৪ ভোট পেয়েছেন।
সূত্র: রয়টার্স