হোয়াইট হাউজের এই টিকা এশিয়ার যেসব দেশ পাবে সেই তালিকায় আছে বাংলাদেশও। কিছুদিন আগে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় সহায়তার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ৮ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন বিতরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এবার তার সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে সাড়ে পাঁচ কোটি ডোজ টিকা বিতরণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রতিশ্রুতির আড়াই কোটি ডোজ টিকা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিতরণ শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলেন জো বাইডেন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস এবং এর বিভিন্ন প্রজাতির বিরুদ্ধে যেসব দেশ এখনও লড়ছে, সেসব দেশকে আরও বেশি ভ্যাকসিন সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ৩১ কোটির বেশি মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে। ফলে হোয়াইট হাউজ এখন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভ্যাকসিন সহায়তা বৃদ্ধির দিকে মনযোগ দিচ্ছে।
হোয়াইট হাউজ বলেছে, সাড়ে ৫ কোটি ডোজ টিকার মধ্যে ৪ কোটি ১০ লাখ ডোজ বিতরণ করা হবে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে। এর মধ্যে প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ ডোজ যাবে লাতিন আমেরিকা, ক্যারিবীয় অঞ্চলে। এছাড়া এক কোটি ৬০ লাখ ডোজ যাবে এশিয়া এবং অন্য ১ কোটি ডোজ যাবে আফ্রিকায়।
অন্য ২৫ শতাংশ অথবা এক কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিকা কলম্বিয়া, আর্জেন্টিনা, ইরাক, ইউক্রেন, পশ্চিম তীর এবং গাজায় আঞ্চলিক অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিতরণ করা হবে। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিন বিতরণে যুক্তরাষ্ট্রকে কিছু সমস্যারও মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
হোয়াইট হাউজের এই মুখপাত্র বলেছেন, এসব টিকা কোথায় যাচ্ছে সেবিষয়ে আমরা আজ ঘোষণা দিয়েছি। আমরা অব্যাহতভাবে টিকার ডোজ পৌঁছানো এবং পরিবহনের ঘোষণা দেব। যত দ্রুত সম্ভব আমরা এসব টিকা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতে উন্মুখ হয়ে আছি।
যুক্তরাষ্ট্র যে সাড়ে ৫ কোটি ডোজ টিকা বিতরণের পরিকল্পনা করেছে, তা ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের কাছ থেকে পাওয়া। যদিও মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যালস জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকার ব্যবহারেও সবুজ সংকেত দিয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স।