বুধবার এক বিবৃতিতে ৯০ বছর বয়সী বাফেট বলেছেন, আমার লক্ষ্যগুলো ফাউন্ডেশনের সাথে শতভাগ সমন্বয় সাধন করেছে। নিজের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের সব শেয়ার দাতব্য এই সংস্থায় দেওয়ার অর্ধেক পথে পৌঁছেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গত ১৫ বছরে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে দুই হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার দান করেছেন বাফেট। গেটস ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি বোর্ডের তিন সদস্যের একজন তিনি। বাফেট ছাড়াও এই ফাউন্ডেশনের বোর্ডে আছেন বিল গেটস এবং মেলিন্ডা গেটস। গত মাসে ২৭ বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসানের ঘোষণা দিয়েছেন বিল গেটস এবং মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস।
সংস্থাটির বিনিয়োগের সিদ্ধান্তে বাফেটের কোনও সংশ্লিষ্টতা ছিল না বলে জানিয়েছে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।
ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক সুজম্যান গত মাসে কর্মীদের বলেছিলেন, তিনি ফাউন্ডেশনের দীর্ঘমেয়াদী টেকসই এবং স্থিতিশীলতা জোরদারের আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিবৃতিতে বাফেট বলেছেন, সুজম্যান দুর্দান্ত কাজ করেছেন। তার প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন আছে।
বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মাত্র তিনজন। যা ফাউন্ডেশনের আকার অনুযায়ী খুব বেশি নয়। কারণ এ রকমই আরেক দাতব্য সংস্থা দ্য ফোর্ড ফাউন্ডেশন; যেটি গেটস ফাউন্ডেশনের এক পঞ্চমাংশের সমান। কিন্তু ফোর্ড ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি বোর্ডে সদস্য আছেন ১৫ জন। গেটস ফাউন্ডেশনের এক দশমাংশের সমান আরেক দাতব্য সংস্থা দ্য রকেফেলার ফাউন্ডেশনের বোর্ডে সদস্য আছেন ১২ জন।
বাফেট এবং বিল গেটস দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব রয়েছে। এক সময় বাফেটের কোম্পানি বার্কশায়ারের বোর্ডে ছিলেন বিল গেটস। কিন্তু গত বছর তিনি বার্কশায়ার থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পরে ২০০৬ সালে গেটস ফাউন্ডেশনে নিজের সম্পদের বিশাল অংশ দানের সিদ্ধান্ত নেন বাফেট।
সূত্র: ব্লুমবার্গ।