হামলায় ভুক্তভোগী এক নারী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে বাজারের ওপর বোমা ফেলা হয়। এতে তার স্বামী ও দুই বছরের কন্যা আহত হয়েছে।
ওই নারী বলেন, আমরা প্লেন দেখিনি, তবে (শব্দ) শুনেছি। বিস্ফোরণ হলে সবাই ছুটে পালিয়েছিলাম। পরে ফিরে এসে আহতদের তোলার চেষ্টা করি।
স্থানীয় এক মেডিক্যাল কর্মকর্তা বিমান হামলায় অন্তত ৪৩ জনের প্রাণহানির কথা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন।
তবে এক চিকিৎসক বার্তা সংস্থা এপি’কে বলেছেন, ঘটনাস্থলে থাকা চিকিৎসাকর্মীরা ’৮০ জনের বেশি’ বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন।
হামলায় বেঁচে যাওয়া ২০ বছর বয়সী এক তরুণ এএফপি’কে বলেন, সেখানে আহত এবং নিহত অনেক মানুষ ছিল। আমরা তাদের শরীর ও রক্তের ওপর দিয়ে যাচ্ছিলাম।
রয়টার্সের খবর অনুসারে, ইথিওপিয়ান সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল গেটনেট আদানে বিমান হামলার কথা স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটাই করেননি। তিনি বলেছেন, বিমান হামলা সামরিক বাহিনীর সাধারণ কৌশল, আর এতে বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্য বানানো হয় না।
তবে লন্ডনের কিংস কলেজের যুদ্ধবিদ্যা বিভাগের অস্থায়ী ফেলো মার্টিন প্লাটের মতে, সকল তথ্য-প্রমাণ বলছে এতে ইথিওপিয়ার সামরিক বাহিনীই দায়ী।
তিনি আল-জাজিরাকে বলেন, সত্যি বলতে আর কেউই এটি করতে পারত না। ওই এলাকায় ইরিত্রিয়ান বিমান বাহিনী কার্যক্রম চালায় না, আর তাইগ্রেয়ানদের তো বিমান বাহিনীই নেই। তাহলে আর কে (বিমান হামলা) করবে?
সূত্র: আল জাজিরা