বুধবার (৩০ জুন) রাজধানীর মতিঝিল ব্যাংকপাড়ায় এ দৃশ্য চোখে পড়ে।
গ্রাহকের উপস্থিতির ওপর ভর করেই বেড়েছে ব্যাংকগুলোর লেনদেন কার্যক্রম। এদিন টাকা জমা দেয়ার চেয়ে যেন গ্রাহকদের টাকা তোলার হিড়িক লেগে যায়। তবে বড় গ্রাহকের তুলনায় ছোট বা মধ্যম সারির গ্রাহকের উপস্থিতি বেশি ছিল কাউন্টারগুলোতে। এসব গ্রাহকের বাড়তি লেনদেনের চাপে সেবা দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যাংক কর্মরতদের।
এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর বিধিনিষেধের সময় জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী ব্যক্তি ও সংস্থা ছাড়া এবং জরুরি কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোনালী ব্যাংক মতিঝিল শাখায় আসা মাসুম বিল্লহ নামে এক গ্রাহক বলেন, ‘এর আগে লকডাউনের সময় সব কিছু বন্ধ থাকার কথা বললেও অনেক কিছুই খোলা ছিল। এবারও কী তেমন হবে নাকি কঠোর হবে জানি না। আবার শুনছি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে নগদ টাকা কিছু হাতে রাখতে চাই। সুস্থতা-অসুস্থতার কথাও মাথায় রাখতে হবে। এজন্য ব্যাংক থেকে শেষ দিন কিছু টাকা উঠাতে এসেছি।’
এ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘লকডাউনের আগে অধিকাংশ গ্রাহকই ব্যাংকমুখী হন। তারা এ সময়ে টাকা জমার চেয়ে উত্তোলন বেশি করেন। অন্য সব দিনের চেয়ে এখন পর্যন্ত লেনদেন বেশি হচ্ছে আজ। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর গ্রাহকের উপস্থিতি বেশি হলে কাউন্টারে চাপ থাকে বেশি, এটা স্বাভাবিক ঘটনা।’