মঙ্গলবার (২৯ জুন) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বাজেট কমিটি ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ব্যয়ের জন্য এই বরাদ্দে সম্মত হয়। রয়টার্স।
বুধবার (৩০ জুন) সাধারণ পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে এই বাজেট অনুমোদন দেবে। কূটনীতিকরা বলছেন, এই বাজেট বরাদ্দের মধ্য দিয়ে শান্তিরক্ষা মিশনের সম্ভাব্য ব্যয় বন্ধ হয়ে যাওয়া অল্পের জন্য রক্ষা পেল। জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তারা সোমবার জানান, বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল ৩০ জুনের মধ্যে নতুন বাজেট গ্রহণ করা না হলে জরুরি পরিকল্পনা করার প্রস্তুতি নিতে।
কয়েকজন কূটনীতিক জানান, আলোচনা প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন, লজিস্টিকস নিয়ে বিরোধ এবং চীনের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের কঠোর অবস্থানের বাজেট বরাদ্দে সমঝোতা বিলম্বিত হওয়ার হুমকি তৈরি হয়েছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিক থিবাউল্ট কামেলি মঙ্গলবার বাজেট কমিটিকে বলেন, সময়সীমার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানানোর ক্ষেত্রে অক্ষমতা পুরো শান্তিরক্ষা কাঠামোকে নজিরবিহীন বিপদের মুখে ফেলেছিল। শান্তিরক্ষায় মাঠে কাজ করা নারী ও পুরুষরা আমাদের কাছে আগামী ও ভবিষ্যতের আলোচনা ও কাজ সময়মতো সম্পন্ন করার দাবি রাখে।
জাতিসংঘের ব্যবস্থাপনা কৌশল, নীতি ও কমপ্লায়েন্স-বিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন পোলার্ড সোমবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, যদি ৩০ জুনের মধ্যে বাজেট বরাদ্দ দেওয়া না হয় তাহলে শুধু সংস্থার সম্পদ এবং কর্মী ও শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তার জন্য অর্থ ব্যয় করতে পারবেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। শান্তিরক্ষা মিশনের বাজেটের সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র (২৮%)। এরপরে রয়েছে চীন (১৫.২ শতাংশ) ও জাপান (৮.৫%)।