এই অনুমোদনের অর্থ হলো, যেসব ভারতীয় কোভিশিল্ড টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন- এই সাতটি দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে তাদের কোনো প্রকার বাধার সম্মুখীন হতে হবে না, বাধ্যতমূলক কোয়ারেন্টাইনেও তাদের থাকতে হবে না। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি অনলাইন।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনা টিকা ইউরোপে ওয়াইড পাস বা ডিজিটাল গ্রিন সার্টিফকেট পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। আগামী ১ জুলাই থেকে তা কার্যকর হবে।
এই টিকারই যে ডোজগুলো ভারতে তৈরি হচ্ছে, তার নাম কোভিশিল্ড। এটি প্রস্তুত করেছে বিশ্বের বৃহত্তম টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউট। ভারতের গণটিকাদান কর্মসূচিতে বর্তমানে ব্যাপকহারে সেরামের তৈরি কোভিশিল্ড টিকা দেওয়া হচ্ছে।
ইউরোপীয় সংস্করণটির অনুমোদন দিলেও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভারতীয় সংস্করণটির অনুমোদন দেয়নি ইএমএ। অবশ্য ইউরোপে গ্রিন পাসের জন্য অনুমোদন পেতে আবেদন করা হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে সেরামের পক্ষ থেকেও কিছু জানানো হয়নি।
এক আদেশে এ সম্পর্কে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইএমএ যেসব টিকার অনুমোদন দিয়েছে, সেসবের ডোজ গ্রহণকারীদের গ্রীন পাস বা ঝুঁকিমুক্ত সনদ দেওয়া হবে এবং বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে যেসব যাত্রীর কাছে সেই ‘গ্রীন পাস’ থাকবে, তারা কাজ বা পর্যটনসূত্রে বাধাহীনভাবে ইইউভুক্ত দেশসমূহে ঘোরাফেরা করতে পারবেন।
এর মধ্যেই কোভিশিল্ডের অনুমোদন দিল ইইউ-এর সদস্য ৯টি দেশ। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ইতোমধ্যে আশ্বাস দিয়েছেন, ইউরোপে কোভিশিল্ডের অনুমোদনের ব্যাপারে ইইউ-এর পররাষ্ট্র বিভাগের প্রধান জোসেপ বরেলের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।
সূত্র: এনডিটিভি, খালিজ টাইমস