জানা যায়, গত মাসে এ সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ পাঁচ উদীয়মান দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্যই ফান্ডটি গঠন করা হয়েছে।
বিনিয়োগের বিষয়ে ডন গ্লোবাল বলছে, এ পাঁচ দেশে ৮৬ কোটি মানুষের অর্থনীতি বেশ সম্ভাবনাময়। এ পাঁচ দেশের জনসংখ্যা লাতিন আমেরিকার মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি এবং এদের বড় অংশই তরুণ। ২০০০ সাল থেকেই এ দেশগুলো সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল ১৫টি অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএমএফের বরাত দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০২০ থেকে ২০২৬ সময়ে উদীয়মান এশিয়ার জিডিপি প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি হবে। এ বাজারগুলোর বর্তমান ভ্যালুয়েশন সর্বোচ্চ পর্যায়ের চেয়ে ৫০ শতাংশ নিচে রয়েছে এবং এর প্রবৃদ্ধি ও মৌলভিত্তি এখনো সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
সূত্র বলছে, গত ২০০০ সালের জানুয়ারিতে এশিয়ান গ্রোথ কাবস ইটিএফ এ পাঁচ উদীয়মান দেশের বাজারে ১ হাজার ডলার বিনিয়োগ করলে ২০ বছর পর এর রির্টান কী হতো সেটির একটি বিশ্লেষণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির বিশ্লেষণে দেখা যায়, এশিয়ান গ্রোথ কাবস ইকুইটি ইনডেক্স কম্পোজিট ভারত, চীন, এমএসসিআই, এস অ্যান্ডপি ৫০০ এমনকি এমএসসিআই ইমার্জি মার্কেট ইনডেক্সকেও ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ও ভিয়েতমানের বিষয়ে ডন গ্লোবালের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, ৪০ বছর ধরেই দেশ দুটি বিশ্বের তিনটি দেশের মধ্যে অন্যতম, যাদের জিডিপি বর্ধনশীল। বাংলাদেশে মাথাপিছু জিডিপি গত বছর প্রথমবারের মতো ভারতের মাথাপিছু জিডিপিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টিও প্রতিষ্ঠানটির বিশ্লেষণে উঠে এসেছে। উদীয়মান এ পাঁচ দেশের সম্ভাবনাময় ১২টির বেশি ইউনিকর্নের কথা উল্লেখ করেছে প্রতিষ্ঠানটি, যার মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি বিকাশও রয়েছে। ভোগ্যপণ্য, ওষুধ, আর্থিক, আবাসন ও উৎপাদন খাতের শেয়ারেই বেশি বিনিয়োগ করে ডন গ্লোবাল।