গত ২১ জুন ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছিল, বুশেহর পরমাণু কেন্দ্রে কারিগরি সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই সমস্যা সারিয়ে তুলতে কয়েক দিন লাগবে। এ কারণে সেখান থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ আপাতত বন্ধ থাকবে।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিভিন্ন উপায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে থাকে দেশটি। দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে ইরাকসহ প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করে ইরান সরকার।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুন ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার একটি ভবনে হামলাচেষ্টা করা হয়েছিল। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের দাবি সে হামলাচেষ্টা ঠেকিয়ে দিয়েছে তেহরানের নিরাপত্তা বাহিনী। ইরানের দাবি, ড্রোনের মাধ্যমে ভবনটিতে হামলাচেষ্টা করা হয়েছিল। কোন ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির আগেই তা বানচাল করতে সক্ষম হয়েছিল ইরান।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে চুক্তি করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। চুক্তিতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত রাখার প্রতিশ্রুতি দেয় ইরান। কিন্তু ২০১৮ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন এবং ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখেন। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ইরানও পারমাণবিক চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা শুরু করে।
সূত্র: পার্সটুডে