ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ এক নথিতে দেখা যায়, ওয়াল স্ট্রিট ফার্মের ব্যাংকিং প্রোগ্রামের ভাইস প্রেসিডেন্ট, অ্যাসোসিয়েট ও অ্যানালিস্ট, ক্যাপিটাল মার্কেট ও অ্যাডভাইজরি বিভাগের কর্মীরা এ বেতন বাড়ানোর আওতায় পড়বেন। ১ জুলাই থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির পরিমাণ হবে ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার ডলার পর্যন্ত। সে হিসাবে একজন অ্যানালিস্টের প্রথম বছরের বেতন দাঁড়াবে প্রায় ১ লাখ ডলার। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ না করা হলেও অভ্যন্তরীণ একটি সূত্র এটি নিশ্চিত করেছে।
দীর্ঘ সময় কাজ করানো, অবাস্তব সময়সীমা বেঁধে দেয়াসহ বিভিন্ন কারণে বেশ ক্ষুব্ধ ছিলেন ব্যাংকটির তরুণ কর্মীরা। বিশেষ করে করোনা মহামারির সময়ে অতিরিক্ত কাজের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল তাদের ব্যক্তিগত জীবন। এমন পরিস্থিতিতে বেতন বাড়ানোসহ নানা সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানটি।
শুধু বেতন বাড়ানোই নয়, কর্মীরা যেন ভালো থাকেন সেজন্যও নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তারা যেন কর্মজীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনেও পর্যাপ্ত সময় পান সেদিকেও নজর দিচ্ছে সিটিগ্রুপ।
এর আগে, ব্যাংকটি জানিয়েছিল, মহামারী-উত্তর সময়ের কথা বিবেচনায় নিয়ে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করবে তারা। বিশেষ করে কর্মীরা চাইলে সপ্তাহে অন্তত দুদিন বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধা পাবেন।
অপরদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান মরগান স্ট্যানলি, জেপি মরগান ও গোল্ডম্যান স্যাকস গ্রুপ চাইছে কর্মীরা যেন পুরোদমে অফিসে এসে কাজ শুরু করেন। মহামারীর আগের অবস্থায় তারা কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে নিতে চায়। এমন সময় সিটিগ্রুপ কর্মীদের জন্য প্রয়োজনে সপ্তাহে দুদিন বাড়িতে বসে কাজের সুযোগ করে দিচ্ছে।