দুপুরে খাওয়ার পর ঘুম ঘুম পরিস্থিতি হওয়ার বৈজ্ঞানিক ব্যাখাটা হলো, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা ওঠানামা করে। যেকোনো খাবার খাওয়ার পরেই রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণের জন্য প্যানক্রিয়াস ইনসুলিন তৈরি করতে থাকে। বেশি খেলে প্যানক্রিয়াস বেশি ইনসুলিন উৎপন্ন করে। ইনসুলিন বেশি উৎপন্ন হলে দুইটা বিষয় ঘটে। শরীরে ঘুমের হরমোন তৈরি হয়। এই হরমোন মস্তিষ্কে গিয়ে বিপাক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেরোটোনিন ও মেলাটোনিনে পরিণত হয়। এই মেলাটোনিন হলো ঘুমের হরমোন।
সাধারণত, উচ্চ কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খেলে একে হজম করতে অনেক শক্তি খরচ হয়। চিকিৎসকদের মতে, খুব ভারী খাবার খেলে হজম করতে শরীরের ৬০ থেকে ৭৫ ভাগ শক্তি ব্যবহৃত হয়। এই শক্তি ক্ষয়ের জন্য আমাদের ঘুম পায়। কেবলমাত্র উচ্চ কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবারের বেলায় এটি ঘটে না, প্রোটিন জাতীয় খাবারের বেলাতেও এমনটি ঘটে।
১. খাওয়ার পরে ক্লান্ত ও ঘুম আসার কারণ ভারী খাবার এবং অতিরিক্ত খাবার। আপনি ক্ষুধার্ত অবস্থায় যতটা খাবার খান না কেন, তা যেনো জাঙ্ক ফুড না হয়। কারণ আপনি যতো বেশি ভারী খাবার খাবেন ততো বেশি শক্তির প্রয়োজন হয় দেহের সেগুলো হজম করতে।
২. বেশি বেশি প্রোটিন ও বেশি চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া আপনাকে ভোগাবে। অতিরিক্ত খেলে এটি ভাঙতে শরীরের বেশি শক্তি ব্যয় হবে। তাই দুপুরে খুব বেশি খেতে যাবেন না। দুপুরে হালকা খাবার খাওয়া এই ঘুম ঘুম ভাব কমাতে সাহায্য করবে। তবে এরপরও যদি ক্লান্তি চলে আসে ও ঘুম ঘুম ভাব হয়, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩. আপনার যদি রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হয়, তাহলে দিনের বেলা ঘুমের মতো ঝিমুনি হতে পারে। তাই রাতজাগা অভ্যাস বদলাতে হবে। সুষম খাবার খাওয়ার পাশাপাশি ভালো ঘুমও খুব দরকার।
৪. শারীরিক কার্যকলাপ করলে শক্তি বাড়ে এবং ক্লান্তি কমে যায়। নিজেকে ফিট রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। শরীরচর্চা রাতে ভালো ঘুমোতেও সাহায্য করে।