সোমবার (৫ জুলাই) অর্থমন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশিত রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনায় প্রবাসী আয়ের ধারা ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকায় আমি প্রথমে সব রেমিট্যান্স প্রেরণকারী প্রবাসী ভাই-বোনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ার শুরুতে অনেকে সমালোচনা করেছিলেন। সমালোচকরা বলেছিলেন, এটি বেশি দিন টেকসই হবে না। কিন্তু সব সমালোচনাকে পেছনে ফেলে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের তুলনায় ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ রেমিট্যান্স বেড়ে চলতি অর্থবছর শেষে ২৪.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে বর্তমানে আমাদের রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে।
তিনি বলেন, প্রবাসী আয়ের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকার জন্য প্রবাসী আয় পাঠানোর নিয়ম-কানুন সহজ করে দিয়েছে সরকার। সময়োপযোগী দুই শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সংস্কারমুখী পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। আমাদের এ অর্জন দিনদিন বেড়েই চলেছে এবং ভবিষ্যতে এটি আরও বাড়বে। রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়াতে দুই শতাংশ প্রণোদনার বিষয়ে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে। বর্তমানে কাউকে হয়রানি করা হয় না, সময়মত এর উপকারভোগীর হাতে প্রণোদনার টাকা পৌঁছে যায়।