চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহ থেকে বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ বাড়ানোর গুঞ্জন চলছে। গত শুক্রবার রপ্তানিকারক দেশগুলোর বৈশ্বিক জোট ওপেক এবং এর বাইরের রপ্তানিকারক দেশগুলোর তেলমন্ত্রীদের বৈঠকে বসে। বৈঠকে আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দৈনিক ৪ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদনে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। গত বছর তেল উৎপাদন সীমিত রাখার যে চুক্তি হয়েছিল, তার মেয়াদ আগামী বছরের এপ্রিলে শেষ হওয়ার কথা। সংযুক্ত আরব আমিরাত বাদে ওপেকের সদস্যভুক্ত দেশগুলো এই চুক্তির মেয়াদ আরও লম্বা সময়ের জন্য বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়।
প্রস্তাবে সম্মতি দেয়নি সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা তাদের তেল উৎপাদনের পরিমাণ বাড়াতে চায়। গত বছরের তেলচুক্তি অনুযায়ী ওপেক ও এর মিত্ররা দিনে ১ কোটি ব্যারেল উৎপাদন কমাতে রাজি হয়, যা বিশ্বের মোট সরবরাহের ১০ শতাংশ। এরপর থেকে প্রায় প্রতি মাসেই সরবরাহের বিষয়ে বৈঠক করে আসছে ওপেক।
গত শুক্রবার ওপেকের সদস্যদের মধ্যে ভার্চ্যুয়ালি ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া ওপেক প্লাসের ২৩ সদস্যের মধ্যেও বৈঠক হয়। পরে আলোচনা গতকাল সোমবার পরবর্তী বৈঠক পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয়। তবে সেই বৈঠকও বাতিল হয়েছে। আর এতেই বিশ্ববাজারে আরেক দফা বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্বালানিমন্ত্রী সুহেল আল মাজারুয়ি গণমাধ্যম সিএনবিসিকে জানান, ‘গত বছরের ওই চুক্তি আমাদের জন্য কোনো ভালো চুক্তি ছিল না।’ ২০২২ সাল পর্যন্ত এটি নিয়ে যেতে চাইলে আরও ভালো শর্ত চান তাঁরা।
ওপেকের মহাসচিব মোহাম্মদ বারকিন্দো এক বিবৃতিতে বলেছেন, আগামী বৈঠকের তারিখ যথাযথ সিদ্ধান্ত নিয়ে তারপর হবে।