দেশটির কাবুল ও দক্ষিণের প্রদেশ কান্দাহারে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, শনিবার সকাল ৮ টার দিকে কাবুলে প্রথম বিস্ফোরণটি হয়। এতে দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও চারজন।
প্রায় একই সময়ে কান্দাহারের দামান জেলায় হয় অন্য আরেকটি বিস্ফোরণটি। যাতে নিহত হয়েছেন দুইজন। আহত হয়েছেন নারীসহ আরও পাঁচজন। এদের মধ্যে দুইজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।
বিস্ফোরণের পেছনে কারা দায়ী তা এখনও জানা যায়নি। তবে পুলিশ বলছে, মূলহোতাদের খুঁজে বের করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
এদিকে আফগানস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে আশরাফ ঘানি সরকারের মধ্যে হতাশা বেড়েছে। কারণ একের পর এক জেলা দখল করে নিচ্ছে তালেবান। আশরাফ ঘানি হলো মার্কিন সমর্থিত আফগান প্রেসিডেন্ট।
জেলাগুলো পুনরুদ্ধারে সেনাবাহিনীর সঙ্গে তালেবানদের তীব্র লড়াই চলছে। এতে আতঙ্ক বাড়ছে সাধারণ জনগণের মাঝে। এরই মধ্যে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘাতে নিহত হয়েছে বহু সাধারণ মানুষ। অনেকে চাচ্ছে যে কোনো একপক্ষের বিজয়ের মাধ্যমে এই লড়াইয়ের অবসান হোক।
সম্প্রতি আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্তের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি এলাকা দখলে নিয়েছে তালেবান। এছাড়া তালেবানের দাবি, তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে পুরো আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ এলাকা।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারসহ তালেবানের আরও দুটি হামলায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। এই হামলার জন্য আল কায়দার প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে দায়ী করা হয়। এরপর থেকে আফগানিস্তানে হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১১ সাল থেকে চলা যুদ্ধ-সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৬৪ হাজারের বেশি আফগান সেনা ও পুলিশ নিহত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ৪০ হাজারের বেশি সাধারণ মানুষ। এছাড়া আরও প্রায় সাড়ে তিন হাজার বিদেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
এ অবস্থায় সম্প্রতি আফগানিস্তান যুদ্ধে ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানিয়েছেন, ৯/১১ হামলার দুই দশকপূর্তির আগেই আফগানিস্তান থেকে সকল মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে।