রোববার (১১ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা সপন আয়ামসিরিথন এ তথ্য জানিয়ে বলেন, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত দেশটির ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৩৪৮ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে সিনোভ্যাকের করোনা টিকার দুই ডোজ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে আসতে তাদের সবাইকে করোনা টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেওয়া সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব থাইল্যান্ডের কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি অনুমোদন করেছে।
এ বিষয়ে সপন আয়ামসিরিথন বলেন, ‘সম্প্রতি একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল সরকার বরাবর প্রস্তাব দিয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে তাদেরকে যেন করোনা টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়। সরকার এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে।’
‘তবে তৃতীয় ডোজে সিনোভ্যাকের টিকা ব্যবহার করা হবে না। এক্ষেত্রে আমাদের পছন্দ অ্যাস্ট্রাজেনেকা বা অন্য কোনো আরএনএ শ্রেণির টিকা।’
গত বছর এপ্রিল থেকে থাইল্যান্ডে শুরু হয়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। শুক্রবার (৯ জুলাই) দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ২৭৬ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ৭২ জন। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত করোনায় থাইল্যান্ডে একদিনে সর্বোচ্চসংখ্যক আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে শুক্রবার।
এর প্রেক্ষিতে শনিবার এক সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছে, রাজধানী ব্যাংককসহ থাইল্যান্ডের ১০টি প্রদেশের সবগুলোতে রাত্রিকালীন কারফিউ, নিত্য প্রয়োজনীয় দোকানপাট ব্যতীত অন্যান্য দোকান ও শপিংমল বন্ধ রাখা, জনগণের চলাচলে বিধিনিষেধ ও এক প্রদেশ থেকে আরেক প্রদেশে ভ্রমণের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
সরকারি ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার আগ পর্যন্ত এসব বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে এবং চলতি সপ্তাহের সোমবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞাসমূহ কার্যকর হবে।
২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত থাইল্যান্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৩৭১ জন এবং এ রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত দেশটিতে মারা গেছেন ২ হাজার ৭১১ জন।
সূত্র : রয়টার্স