সোমবার (১২ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।
এর আগে চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেশের সব ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছিল, গত বছর তথা ২০২০ সালে ব্যাংকগুলো যে মুনাফা করেছে, তার ১ শতাংশ করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য খরচ করতে বলা হয়। ব্যাংকের সামাজিক দায়বদ্ধতা বা সিএসআরের আওতায় এ অর্থ ব্যয় করা যাবে বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরে ২১ জুন নতুন নির্দেশনায় রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে বিশেষ এ সিএসআর অর্থের ৫০ শতাংশ ব্যয় করতে বলা হয়।
কঠোর লকডাউনে দ্রুত ও অধিক কার্যকরভাবে জনগণের দোরগোড়ায় ত্রাণ পৌঁছাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সেনা কল্যাণ সংস্থা সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত একটি কল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান। কোভিড-১৯ এর কারণে চলমান লকডাউন পরিস্থিতিতে সেনা কল্যাণ সংস্থা দেশব্যাপী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে হতদরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণ করছে। বর্তমানে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন এর আওতায় সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধসহ জরুরি প্রয়োজন ব্যতিত জনসাধারণের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে আপনাদের ব্যাংকের গঠিত বিশেষ সিএসআর তহবিল সেনা কল্যাণ সংস্থা তথা সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে বিতরণ করা হলে তা দ্রুত ও অধিক কার্যকরভাবে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হবে।
জেলা প্রশাসক, এনজিও, এমএফআই ও ব্যাংকের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষ সিএসআর কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি সেনা কল্যাণ সংস্থার মাধ্যমেও বিতরণ করা যাবে। এক্ষেত্রে সেনা কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। সেনা কল্যাণ সংস্থার মাধ্যমে বিশেষ সিএসআর কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে পৃথক হিসাব সংরক্ষণ করতে হবে।
আগের জারি করা অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো।