সোমবার (১২ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই বর্তমানে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এসময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার বেড়েছে। সরকারের রূপকল্প ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার অংশ হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ে নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল অভিগমন এবং তথ্যপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ মানবসম্পদ উন্নয়নে আইসিটি খাতে অর্থায়নকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
এসব বিবেচতায় ভোক্তা ঋণের আওতায় গ্রাহকের অনুকূলে ডিজিটাল ডিভাইস (ল্যাপটপ, মোবাইল, কম্পিউটার, ট্যাব ইত্যাদি) ক্রয় বাবদ ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ঋণ-মার্জিন অনুপাত ৩০:৭০ এর পরিবর্তে সর্বোচ্চ ৭০:৩০ অনুপাত অনুসরণ করা যাবে।
অর্থাৎ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে মোবাইল কিনবেন। এক্ষেত্রে মোবাইলের মূল্য যদি ১০ হাজার টাকা হয় তাহলে ৭ হাজার টাকা ব্যাংক গ্রাহকে ঋণ হিসাবে দিতে পারবে। এতোদিন ১০ হাজার টাকা মোবাইলে ব্যাংক সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা ঋণ দিতে পারতো।
সার্কুলারে আরোও বলা হয়েছে, গ্রাহক অর্থায়ন সংক্রান্ত ২০০৪ সালের নিয়মনীতির অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো সার্কুলারে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।