সিএনএন মঙ্গলবার রাতে কোভিড-১৯ রোগে যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজার ৫৩৮ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়িয়ে গেল চীনকে, উৎসভূমিতে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৩০৫ জন।
করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ইতালিতে, ১২ হাজার ৪২৮ জন। এর পরে রয়েছে স্পেন, দেশটিতে এই পর্যন্ত মারা গেছে ৮ হাজার ২৬৯ জন।
জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটি কোভিড-১৯ রোগের বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার রাতে যে হালনাগাদ তথ্য দিয়েছে, তাতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৭০৮ জন।
ঠিক এক মাস আগে গত ১ মার্চ করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৯৭৬ জন। তার মধ্যে ২ হাজার ৮৭০ জনই ছিল চীনের। তখন ভাইরাসটি ছড়িয়েছিল ৫৩টি দেশ ও অঞ্চলে।
বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেওয়া করোনাভাইরাসে এক মাসের ব্যবধানে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ৩৭ হাজারের বেশি; আর তা এখন ছড়িয়েছে ১৭৯টি দেশ ও অঞ্চলে।
চীনে এই ভাইরাস সংক্রমণের পর বিপর্যস্ত করে তোলে ইতালি ও স্পেনকে। ফলে ইউরোপকে মহামারীর কেন্দ্রভূমি আখ্যায়িত করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যায় সবাইকে ছাড়িয়ে এখন নতুন কেন্দ্রভূমি হয়ে উঠছে যুক্তরাষ্ট্র।
এক মাস আগে যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে রোগী ছিলই না, সেখানে এখন আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৭৭ হাজার ৩০৮, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। দেশটিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজারের বেশি নতুন রোগী ধরা পড়েছে।
আক্রান্তের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পর রয়েছে ইতালি ও স্পেন। ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে ১ লাখ ৭৯২ জন। স্পেনেও তা লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার অবস্থায় রয়েছে; দেশটিতে কোভিড-১৯ রোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজার ৪১৭ জন।
তবে দুটি দেশেই নতুন রোগী বৃদ্ধির হার কমে আসছে।
চীনের (৮২ হাজার ২৭৮) পর বেশি আক্রান্ত দেশগুলো হল জার্মানি (৬৮১৮০), ফ্রান্স (৪৫২৩২), ইরান (৪৪৬০৫) ও যুক্তরাজ্য (২৫৪৭৪)।
জার্মানিতে আক্রান্ত বেশি হলেও মৃতের সংখ্যা তুলনামূলক কম। দেশটিতে এই পর্যন্ত ৬৮২ জন মারা গেছে। অন্যদিকে ফ্রান্সে ৩ হাজার ২৪ জন, যুক্তরাজ্যে ১ হাজার ৭৮৯ জন এবং ইরানে ২ হাজার ৮৯৮ জনের মৃত্যু ঘটেছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৯৭৫ হয়েছে, মারা গেছে ২৬ জন। ভারতে মৃতের সংখ্যা এই অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৩৫ জন হলেও আক্রান্ত ১ হাজার ৩৯৭ জন।
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন দুজন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২; এর মধ্যে ৫ জন মারা গেছেন।