বুধবার (১৪ জুলাই) এই হত্যাকাণ্ডের পর সেখানে স্থানীয় ও ভারতীয় বাহিনীর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়েছে।
তবে নিহত কাশ্মীরিদের বিদ্রোহী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ভারত। দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, বিদ্রোহীদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে পুলওয়ামা শহরের একটি পাড়ায় সেনারা উপস্থিত হয়েছিল। তখন সেনা ও পুলিশের দিকে তাক করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে বিদ্রোহীরা।
এরপর সেনাবাহিনী প্রতিশোধ নেওয়া শুরু করলে বিদ্রোহীরা একটি ঘরে আটকা পড়ে। আট ঘণ্টা ধরে চলা অভিযানে ৩ বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন বলে জানায় ভারত। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুটি রাইফেল ও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, সেনাবাহিনী একটি বাড়িতে গুলি চালায় এবং বিস্ফোরক দিয়ে আরেকটি বাড়ি উড়িয়ে দেয়। কাশ্মীরে বিদ্রোহীদের দমনে প্রায়ই এমন কৌশল ব্যবহার করে আসছে ভারতীয় বাহিনী।
এদিকে বিক্ষোভ দমনে পুলওয়ামা শহরে কারফিউ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ এবং মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের পর সরকারি বাহিনীর ওপর পাথর নিক্ষেপ করে ভারতবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। বিক্ষোভকারীরা ভারতীয় দখলদারিত্বের অবসান দাবি করে স্লোগান দিতে থাকেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি বাহিনী বেশ কয়েকজনকে আটক করে তাদের সামনে বসিয়ে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে।
এদিকে হিমালয় অঞ্চলটিতে সহিংসতা বেড়েই চলছে। গত সপ্তাহে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ১১ কাশ্মীরিকে সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক কাশ্মীরি কমান্ডাররের দুই সন্তান ও দুই পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন।