বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বৃহস্পতিবারের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী থাইল্যান্ডের সহকারী স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ এমন কথাই জানিয়েছেন। এটা হলে করোনার প্রকোপ দেখা দেওয়া থাইল্যান্ডের মন্থর টিকাদান কর্মসূচির গতি আরও শ্লথ হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সহকারী স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাথিত পিতুতাছা জানিয়েছেন, থাইল্যান্ডের কারখানায় উৎপাদিত ৬ কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা এই ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মে পর্যন্ত সরবরাহ করার জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
তিনি আরও বলেছেন, থাইল্যান্ডে মাসে দেড় কোটি ডোজ টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে কোম্পানিটির। সিয়াম বায়োসায়েন্সের সঙ্গে এই উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো নিয়েও আলোচনা চলছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার পক্ষ থেকে সাড়া মেলেনি।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে টিকা সরবরাহের জন্য থাইল্যান্ডে উৎপাদিত হচ্ছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। কিন্তু থাইল্যান্ডে নির্ধারিত সময়ে টিকা সরবরাহ করতে না পারায় কোম্পানিটির টিকা উৎপাদন সক্ষমতার ধীরগতি নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে।
তবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, থাইল্যান্ডসহ ওই অঞ্চলের দেশগুলোকে যথাসময়ে কোভিড ট্কিা সরবরাহের জন্যই তারা তাদের টিকা উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর চেস্টা করছে। চলতি মাস থেকেই তা শুরু হবে হবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।