হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শনিবার (১৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই কথা জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। আগামী সোমবার এই টিকা বাংলাদেশে পৌঁছাবে বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এদিকে শুক্রবার ইউক্রেনকে ২০ লাখ ডোজ টিকা পাঠিয়েছে ওয়াশিংটন। করোনা মহামারি মোকাবিলার অংশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে টিকা দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি প্রেসিডেন্ট বাইডেন দিয়েছেন তারই অংশ হিসাবে এই টিকা পাঠানো হয়।
রয়টার্সকে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, বৈজ্ঞানিক দল এবং উভয় দেশের নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষ নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করছে।
এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি মডার্নার সাড়ে ১২ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসে পৌঁছায়। বিশ্বজুড়ে টিকা সরবরাহের আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে এসব টিকা পাঠানো হয়।
গত ২ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে মডার্নার টিকা নিয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮৪ ফ্লাইটটি বাংলাদেশে আসে। মডার্নার টিকা নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের মোট চারটি টিকা এলো।
এর আগে গত ২৭ জুন ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর দেশে মডার্নার টিকার জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন দেয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে টিকাটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
মডার্নার টিকা ১৮ বছর বা এর বেশি বয়সীদের দেওয়া যায়। প্রত্যেককে এই টিকার দুই ডোজ করে দিতে হয়। টিকাটির প্রথম ডোজ নেওয়ার চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে। মাইনাস ১৫ থেকে মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এ টিকা সংরক্ষণ করতে হয়। টিকাটি ব্যবহারের আগে ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৩০ দিন এবং ৮-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে।
মডার্নার এই টিকা গত ২২ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে। এর আগে গতবছরের ১২ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ এবং ৬ জানুয়ারি ইউরোপিয়ান মেডিসিন অথরিটির অনুমোদন পায় টিকাটি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, মডার্নার টিকা করোনার বিরুদ্ধে ৯৪ দশমিক ১ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। বাংলাদেশে এই টিকার স্থানীয় প্রতিনিধি এমএনসি অ্যান্ড এএইচ, স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।