সিডিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আক্রান্ত ওই রোগী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। সম্প্রতি তিনি নাইজেরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরেছেন।
দেশে ফেরার পর শারীরিক অসুস্থতা বোধ করায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান ওই ব্যক্তি। সেখানে ধরা পড়ে- তিনি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত।
মাঙ্কিপক্স একপ্রকার ভাইরাসজনিত অসুখ। ব্যাপক সংক্রামক এ রোগটিকে আক্রান্ত হলে প্রথমে রোগী জ্বর অনুভব করেন এবং তার কিছুদিন কিছুদিন পর জ্বরের পাশাপাশি রোগীর দেহে র্যাশ বা ফুস্কুড়ি ওঠে।
চিকিৎসা নিতে বিলম্ব হলে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যেই সেরে যায় মাঙ্কিপক্স।
আক্রান্ত রোগীর নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ছড়ায় এ রোগটি। যুক্তরাষ্ট্রে এর আগে সর্বশেষ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল ২০০৩ সালে।
সিডিসির শুক্রবারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ডালাসে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। পাশাপাশি, সংক্রমণের ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে যে ফ্লাইটে তিনি নাইজেরিয়া থেকে এসেছিলেন, সেটির অন্যান্য যাত্রীদের সম্পর্কে খোঁজখবর করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
তবে ফ্লাইটের মেডিকেল টিম জানিয়েছে, ফ্লাইট পরিচালনা কর্তপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী বিমানযাত্রীদের সবাই মাস্ক পরা ছিলেন, তাছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে ফ্লাইট পরিচালনা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ যেসব স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে- সেসব নির্দেশনাও মানা হয়েছে। ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম।
সূত্র : এবিসি