সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৯ কোটি ৭ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০ লাখ ৯৮ হাজার।
রোববার (১৮ জুলাই) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ হাজার ৫৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু কমেছে দেড় হাজারের বেশি। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪০ লাখ ৯৮ হাজার ৫৪১ জনে।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৮০ হাজার ১৫১ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৭৮ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ৩০৮ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্যে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৫৪ হাজার ৬৭৪ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। অপরদিকে গত একদিনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৯২ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ হাজার ৯৫২ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২৮ লাখ ৩২ হাজার ৭৫৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৭২ হাজার ৪৮৯ জনের।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৯ লাখ ৫৩ হাজার ৯১৬ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ২৪ হাজার ৭১৩ জন মারা গেছেন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮২৩ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৩৯ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৯৩ লাখ ৪২ হাজার ৪৪৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার ৩২৩ জনের।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫১৭ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ২৮৩ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ১১ লাখ ৫ হাজার ২৭০ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ১৩ হাজার ৬৪০ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫৮ লাখ ৫৫ হাজার ১৯১ জন, রাশিয়ায় ৫৯ লাখ ৩৩ হাজার ১১৫ জন, যুক্তরাজ্যে ৫৩ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ জন, ইতালিতে ৪২ লাখ ৮৪ হাজার ৩৩২ জন, তুরস্কে ৫৫ লাখ ২২ হাজার ৩৯ জন, স্পেনে ৪১ লাখ ২২২ জন, জার্মানিতে ৩৭ লাখ ৫১ হাজার ২৩৪ জন এবং মেক্সিকোতে ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১১ হাজার ৪৬৭ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৪৭ হাজার ৬৫৫ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৮ হাজার ৬৮৩ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৭ হাজার ৮৬৪ জন, তুরস্কে ৫০ হাজার ৪৮৮ জন, স্পেনে ৮১ হাজার ৯৬ জন, জার্মানিতে ৯১ হাজার ৮৯৪ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ৩৬ হাজার ১৫ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।