হিমালয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চুড়া কাঞ্চনজঙ্ঘার অবস্থান দার্জিলিংয়ে। বছরজুড়েই শহরটিতে থাকে পর্যটকের বিচরণ।
গত বছর ভারতে করোনার প্রথম ঢেউ চলার সময় দার্জিলিংয়ে সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল, কিন্তু চলতি বছর করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক পরিবর্তিত ধরন ডেল্টার প্রভাবে সৃষ্ট দ্বিতীয় ঢেউয়ে ছাড় পায়নি পশ্চিমবঙ্গের এই পাহাড়ি শহরটিও। প্রতিদিনই শহরটিতে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দার্জিলিংয়ে ঘুরতে আসা পর্যটকদের করোনা টিকার দুই ডোজ নেওয়ার সনদ অথবা করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।
দার্জিলিং জেলা পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারের স্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও দার্জিলিংয়ে ঘুরতে আসা অনেক পর্যটকই তা মানছেন না। যেসব পর্যটকদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা কেউই পুলিশকে টিকার সনদ বা করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে পারেননি।
দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গত শনিবার থেকে জেলাজুড়ে তল্লাশি করছে পুলিশ। বেড়াতে আসা পর্যটকরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রেখেছিন কিনা অথবা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে রীতিমত অভিযান শুরু হয়েছে। পাশাপাশি গোটা পাহাড়ে পুলিশ কর্মকর্তারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন, প্রয়োজনে পর্যটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
সামনের দিনগুলোতে গ্রেফতারের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার।