যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের সাম্প্রতিক গবেষণায় এ তথ্য এসেছে বলে বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।
মঙ্গলবার এ বিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এখন পর্যন্ত এটি কোনো পিআর রিভিউ সাময়িকীতে ছাপা হয়নি।
এদিকে, জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তাদের কোম্পানির টিকা সম্পর্কিত যে প্রতিবেদন নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি প্রকাশ করেছে, তা ‘অসম্পূর্ণ’।
জনসন অ্যান্ড জনসনের করোনা টিকা এক ডোজের। অন্যান্য করোনা টিকার বেলায় যেখানে টিকাদান সম্পূর্ণ করার জন্য দুই ডোজের প্রয়োজন হয়, সেখানে জনসনের এক ডোজেই সম্পূর্ণ হয় টিকাদান।
মঙ্গলবারের প্রকাশিত প্রতিবেদনে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন, গবেষণায় তারা দেখতে পেয়েছেন জনসনের টিকার ডোজ মানবদেহে প্রবেশের পর গঠিত অ্যান্টিবডি মূল করোনাভাইরাস ও এই ভাইরাসটির অন্যান্য পরিবর্তিত ধরনের বিরুদ্ধে যে পরিমাণ শক্তিশালী থাকে, তার তুলনায় ডেল্টার বিরুদ্ধে তার শক্তি অন্তত ৫ গুণ কম থাকে।
তারা আরও বলেছেন, দুই ডোজের করোনা টিকাসমূহ যে ডেল্টার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম- এমন প্রমাণ তারা পাননি, তবে ডেল্টার সংক্রমণ ঠেকাতে সেই টিকাসমূহের তুলনায় জনসনের টিকা দুর্বল।
মঙ্গলবার এক সিনেট শুনানিতে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা বিষয়ক কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিডিসির (সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন) পরিচালক রচেল ওয়ালেনস্কি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে নতুন আক্রান্ত করোনা রোগীদের ৮৩ শতাংশই ডেল্টায় আক্রান্ত।
এদিকে মঙ্গলবার নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের পরের দিন বুধবার এক বিবৃতিতে জনসন অ্যান্ড জনসনের মুখপাত্র জেক সার্জেন্ট মন্তব্য করেন, প্রতিবেদনটি ‘অসম্পূর্ণ।’
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনটি অসম্পূর্ণ; কারণ জনসনের করোনা টিকার ডোজ গ্রহণের পর মানবদেহে প্রতিরোধী শক্তি গড়ে ওঠার পুরো প্রক্রিয়াটি সেখানে আলোচনা করা হয়নি।’
‘জনসনের টিকা দীর্ঘমেয়াদে কাজ করে এবং দুই ডোজের অন্যান্য করোনা টিকার তুলনায় এই টিকা ডেল্টা প্রতিরোধে অধিক কার্যকর।’
চলতি মাসের শুরুর দিকে জনসন অ্যান্ড জনসনের গবেষকরা জানিয়েছিলেন, তাদের টিকা ডেল্টা ধরনকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম এবং এই টিকার ডোজ গ্রহণের পর বুস্টার ডোজের প্রয়োজন নেই।