চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, গত তিন দিনে ঝেংঝু শহরে যে বৃষ্টিপাত হয়েছে তা এক বছরের সমপরিমাণ।
পুরো প্রদেশ জুড়ে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং তার অধিকাংশই ছিল ঝেংঝু শহরে।
সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, বহু ট্রেনের ভেতরেও বুক সমান পানি জমে যায় এবং তাতে বহু যাত্রী আটকা পড়েন।যাত্রীরা প্রাণপণে পানির ওপর মাথা তুলে রাখছেন। কিন্তু সেখানে অক্সিজেনের সরবরাহ কমে আসলে তাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক দেখা যায়। পানির তোড়ে প্ল্যাটফর্ম ভেসে গেছে।
উদ্ধারকারীরা গণমাধ্যমে বলেছেন, ট্রেনগুলোর জানালা ভেঙে এবং ছাদ কেটে তারা শত শত যাত্রীকে বের করে এনেছেন।
হেনান প্রদেশের ১২টিরও বেশি শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং অন্তত ২ লাখ লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে হয়েছে। উদ্ধার কাজে ইতোমধ্যেই সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুরো প্রদেশ জুড়ে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং তার অধিকাংশই ছিল ঝেংঝু শহরে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেনান প্রদেশের নানা স্থানে বাঁধ ভেঙে গেছে। বেশ কিছু জায়গায় ট্রেন ও বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পুরো প্রদেশ জুড়ে অসংখ্য বাড়িঘর, স্কুল এবং হাসপাতাল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
শহরে বন্যা প্লাবিত একটি নার্সারি স্কুল থেকে বাচ্চাদের উদ্ধার করা হয়। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে শিশুদের প্লাস্টিকের গামলা ভাসিয়ে উদ্ধার করার এই দৃশ্য দেখানো হয়। এদিকে চীনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী তিন দিন ধরে আরও বৃষ্টিপাত হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন-জনিত বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে এরকম অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
চীনে ইয়েলো রিভার অববাহিকায় ব্যাপক বাঁধ নির্মাণের কারণে পানি নেমে যাওয়ার স্বাভাবিক পথ ব্যাহত হওয়ায় বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছিলেন বিজ্ঞানীরা।