রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা শিনহুয়া জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। ওই ঘটনার প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে উদ্ধারকর্মীরা মই এবং ক্রেন দিয়ে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ওই ভবনটির চারপাশ কাঁচ দিয়ে ঘেরা।
দুর্ঘটনার কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। কী কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে শিনহুয়া। চীনে এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নির্ধারিত নীতিমালা মেনে না চলা এবং অননুমোদিত ভবনগুলো এমন ভাবে তৈরি করা হয় যে, দুর্ঘটনা ঘটলে সেখান থেকে বের হওয়াটাও অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে।
এর আগে গত জুনে চীনের হেনান প্রদেশে একটি বোর্ডিং স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৮ জন নিহত হয়। এর মধ্যে অধিকাংশই শিশু। পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা যায় যে, ওই স্কুল ভবনে বাধ্যতামূলক অগ্নি নিরাপত্তা নিরীক্ষণের কাজ শেষ করা হয়নি।
ওই স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়। চীনের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা অগ্নি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উন্নত সুরক্ষা মানের নিশ্চয়তা চেয়েছেন।
২০১৭ সালে বেইজিংয়ের অভিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় দুইবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুই ডজন মানুষ নিহত হয়। এছাড়া ২০১০ সালে সাংহাই আবাসিক ব্লকের একটি ২৮ তলা ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫৮ জন প্রাণ হারায়।