আগামী ১ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত এ সুবিধা বলবৎ থাকবে। কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আপেল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সাপেক্ষে ডিভিশনাল কো-অর্ডিনেটর (ডিআইভিসি) থেকে জয়েন্ট এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (জেইভিপি- পিআরটি) পর্যন্ত কর্মকর্তারা চিকিৎসা খরচ বাবদ পাবেন ৫০ হাজার টাকা। একই শর্তে কোম্পানির ব্রাঞ্চ ম্যানেজার (বিএম) থেকে রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর (আরসি) পদের কর্মকর্তারা পাবেন ২৫ হাজার টাকা।
প্রণোদনার এই সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে আরো কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে প্রাইম ইসলামী লাইফ। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে- শুধুমাত্র করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া (কমপক্ষে ১ দিন অবস্থান) সাপেক্ষে উল্লেখিত চিকিৎসা বাবদ খরচ প্রদান করা হবে।
বিএম থেকে জেইভিপি (পিআরটি) পদ মর্যাদার যেসব উন্নয়ন কর্মকর্তা ২০২০ সালে ১ম বর্ষ পদবি লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশ ক্রেডিট প্রিমিয়াম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন এবং নিকটতম নিম্ন পদস্থ সর্বোচ্চ প্রিমিয়াম অর্জনকারী কর্মকর্তা অপেক্ষা ন্যূনতম ২০ শতাংশ প্রিমিয়াম বেশি রয়েছে কেবল তারাই এ সুবিধার আওতাভুক্ত হবে।
জানুয়ারি-জুন ২০২১ পর্যন্ত ১ম বর্ষ পদবি লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ২০ শতাংশ ক্রেডিট প্রিমিয়াম না থাকলে তাদের ক্ষেত্রে এই সুবিধা প্রযোজ্য হবে না। হোম আইসোলেশন, কোভিড-১৯ পরীক্ষা, মাতৃত্বকালীনসহ প্রচলিত গ্রুপ বীমার এখতিয়ার বহির্ভূত বিষয়ে উক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে না।
এ ছাড়াও উক্ত সুবিধা ১ আগস্ট ২০২১ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে এবং সুবিধা প্রদান বিষয়ে কোন অস্পষ্টতা পরিলক্ষিত হলে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
এ বিষয়ে প্রাইম ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আপেল মাহমুদ বলেন, বিপদের সময় কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে আমাদের এই উদ্যোগ। গ্রুপ ইন্স্যুরেন্সকে সমন্বয় করে আমরা এই প্রণোদনা ঘোষণা করেছি। আশা করছি বীমাকর্মীরা আরো উদ্দীপনা নিয়ে কাজে নামবে।
প্রণোদনা পাওয়ার ক্ষেত্রে যেসব শর্ত আরোপ করা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি বলেন, কোম্পানির সক্রিয় প্রায় সব কর্মী এই সুবিধা পাওয়ার যোগ্য বলে আমরা মনে করি। পরবর্তীতে এফএ এবং ইউএম পদের কর্মীদের এই সুবিধার আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান আপেল মাহমুদ।