বুধবার (২৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এপি ও সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বর্তমানে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের একটি কারাগারে বন্দি আছেন।
২০১২ সালের জুন মাস থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। ২০১৯ সালের এপ্রিলে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে তাকে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইকুয়েডর। এরপরই জামিনের শর্ত ভঙ্গের দায়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ব্রিটিশ আদালত। সেসময় থেকে বেলমার্শ নামক কারাগারে সাজা ভোগ করছেন অ্যাসাঞ্জ।
বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ইকুয়েডরের নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো। লন্ডনে অবস্থিত ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে অ্যাসাঞ্জকে বের করে আনতেই এই নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন তিনি। জন্মসূত্রে অ্যাসাঞ্জ ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক।
তবে এর এক বছর পরই জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল করে ইকুয়েডর। একের পর এক ‘দৈনন্দিন প্রোটোকল ও আন্তর্জাতিক রীতিনীতির লঙ্ঘনের’ কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সেসময় দেশটি জানিয়েছিল। এরপরই তাকে যুক্তরাজ্যের পুলিশ আটক করে এবং কারাগারে প্রেরণ করে।
মঙ্গলবার ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটোর একটি প্রশাসনিক আদালত ঘোষণা করে যে, ইকুয়েডরে বাস করতে ব্যর্থ হওয়াসহ অ্যাসাঞ্জের ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব আইনের বেশ কিছু লঙ্ঘন হয়েছে। এছাড়া অ্যাসাঞ্জের নাগরিকত্ব অনুমোদনের সময় কর্মকর্তারা অনিয়ম করেছিলেন।
এদিকে অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী কার্লোস পোভেদা জানিয়েছেন, আদালতের রায় বাতিল করতে একটি আবেদন দাখিল করবেন তিনি। এই মামলায় হাজির হওয়ার অনুমতি অ্যাসাঞ্জের ছিল না বলেও জানান তিনি।
বার্তাসংস্থা এপি’কে পোভেদা আরও বলেন, আদালতের রায়ে আরও স্পষ্টতা আনার জন্যও পৃথক একটি আবেদন দাখিল করবেন তিনি। তার মতে, ‘জাতীয়তা বা নাগরিকত্বের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে (মানুষের) অধিকার। এছাড়া নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের ক্ষেত্রেও যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।’
তবে আদালত স্বাধীন ভাবে এবং যথাযথ নিয়ম মেনেই এই রায় দিয়েছে বলে এপি’র কাছে দাবি করেছে ইকুয়েডরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।