বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টে ‘কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিরবচ্ছিন্ন ব্যাংকিং ও পরিশোধ সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে’ এ নির্দেশনা দিয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতিতে নিরবচ্ছিন্ন ব্যাংকিং ও পরিশোধ সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে জরুরি আন্তঃব্যাংক লেনদেনের সুবিধার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থাপিত রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস), স্বয়ংক্রিয় চেক নিকাশ ঘর ও বাংলাদেশ অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউজ (বিএসিএইচ বা ব্যাচ) এবং বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) এই তিন প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রমও সীমিত পরিসরে চালু থাকবে। এসব সেবার মাধ্যমে এক শাখা থেকে অন্য শাখায় বা অন্য ব্যাংকের গ্রাহককে অর্থ পরিশোধ ও স্বয়ংক্রিয় চেক নিষ্পত্তি করে থাকে।
এছাড়া বিএসিএইচের মাধ্যমে হাই ভ্যালু চেক (পাঁচ লাখ টাকার বেশি) ও রেগুলার ভ্যালু চেকের (পাঁচ লাখ টাকার কম) নিকাশ ব্যবস্থা নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ২, ৩ ও ৫ আগস্ট পাঁচ লাখ টাকার বেশি অংকের চেক ক্লিয়ারিংয়ের জন্য দুপুর ১২টার মধ্যে পাঠাতে হবে। এসব চেক দেড়টা মধ্যে নিষ্পত্তি হবে। আর যেকোনো রেগুলার চেক দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে ক্লিয়ারিং হাউজে পাঠাতে হবে। এসব চেক বিকেল ৩টার মধ্যে নিষ্পত্তি হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের দিনগুলোতে এই সময়ে চেক ক্লিয়ারিং করবে বিএসিএইচ।
আরটিজিএসের লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত। তবে, কাস্টমস শুল্ক-করাদি, ফি, চার্জ প্রভৃতি পরিশোধ ও আন্তব্যাংক লেনদেন আরটিজিএসের মাধ্যমে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পরিশোধ করা যাবে।
এছাড়া বুধবার (২৮ জুলাই) নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ১ ও ৪ আগস্ট ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এছাড়া ২, ৩ ও ৫ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হবে। লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষে করতে ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখতে পারবে।