সংস্থাটি জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের ২২টি দেশের মধ্যে ১৫টিতেই উচ্চ সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, করোনার এই ধরনটি মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশে টিকা দানের হার খুবই কম, সেসব দেশে এই প্রাদুর্ভাব সৃষ্টি করেছে। ওই অঞ্চলের মরক্কো থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত ২২টি দেশের মধ্যে ১৫টিতে এরই মধ্যে এই ডেল্টা ধরনটি রেকর্ড করা হয়েছে। ভারতে সর্বপ্রথম শনাক্ত হয় অতি সংক্রামক ডেল্টা এই ধরনটি। খবর এনডিটিভির।
এক বিবৃতিতে বিশ্বসস্বাস্থ্য সংস্থার পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক আহমেদ আল-মান্ধারি বলেন, করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরন তীব্র সংক্রমণপ্রবণ। ফলে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ব্যাপক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এসব অঞ্চলে এখন করোনার চতুর্থ ঢেউ চলছে।
মধ্যপ্রাচ্যের এসব দেশে টিকাদানের হার খুব কম। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত মাত্র ৪ কোটি ১ লাখ লোককে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। আল-মান্ধারি বলেন, নতুন যারা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন, তাদের কেউই টিকা নেননি।
আগের মাসগুলোর তুলনায় গত মে মাসে সংক্রমণের হার ১৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। সপ্তাহে ৩ লাখ ১০ হাজার সংক্রমণ ও ৩ হাজার ৫০০ মৃত্যুর সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে।
উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে। দেশগুলো করোনা নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে তাতে খুব বেশি সফলতা আসছে না। দেশগুলোতে অক্সিজেনের ঘাটতি ও হাসপাতালে শয্যার অভাব প্রকট, যা এই অঞ্চলের স্বাস্থ্যব্যবস্থার অক্ষমতাকে স্পষ্ট করে তুলছে।