প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, উদ্ধারকৃত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বেশিরভাগই বাংলাদেশ, মরক্কো, মিসর এবং সিরিয়ার নাগরিক। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি ওই নৌকায় ছিলেন; সেবিষয়ে পরিষ্কার কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
জার্মানি এবং ফ্রান্সের বেসরকারি সংস্থা সি-ওয়াচ ৩ এবং ওসান ভাইকিংয়ের উদ্ধারকারী জাহাজ উত্তর আফ্রিকার উপকূল থেকে ৬৮ কিলোমিটার দূরে তিউনিশিয়ার জলসীমার ভেতরে তেল স্থাপনা এবং অন্যান্য জাহাজের কাছ থেকে সাগরে ভাসতে থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধার করেছে।
সি-ওয়াচ ৩ ভূমধ্যসাগরে রোববার রাতের ওই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছে। জার্মানির এই অলাভজনক সংস্থা মোট ১৪১ জনকে উদ্ধার করেছে। বাকি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধার করেছে ওসান ভাইকিংস। রাতের এই উদ্ধার অভিযানে জার্মানির আরেক এনজিও রেসকিউ শিপের ইয়াট ‘নাদির’ সহায়তা করেছে।
তবে সাগরে ভাসতে থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে কারও মৃত্যু অথবা কেউ আহত হয়েছেন কি-না তা এখনও জানা যায়নি। নৌকাটির পাটাতন এবং বাহিরে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ব্যাপক ভিড় ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, নৌকাটি সাগরে যাত্রা শুরুর পরপরই এর ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।
আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি ঘটায় সম্প্রতি লিবিয়া এবং তিউনিশিয়া থেকে ইতালি এবং ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পাড়ি দেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ভূমধ্যসাগরে ছোট ছোট নৌকায় চেপে প্রায়ই ইউরোপের উদ্দেশ্যে তাদের যাত্রা শুরু করেন।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা বলেছে, চলতি বছরে আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টার সময় ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা গেছেন এক হাজার ১০০ জনের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, রোববার ভূমধ্যসাগর থেকে যেসব অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের অনেকেই নৌকা থেকে লাফিয়ে পড়ে সি-ওয়াচ ৩ এর নৌকায় ওঠার চেষ্টা করেছেন।