রোববার (১ আগস্ট) কাবুলে অবস্থিত ইরান দূতাবাস এক বিবৃতিতে এই নির্দেশনা জারি করে।
ইরান বলেছে, রাজধানী কাবুলের বাইরের শহরগুলোতে অবস্থানরত ইরানিরা যেন অবিলম্বে আফগানিস্তান ত্যাগ করে। বিবৃতিতে জরুরি সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলা হয়, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের যেসব নাগরিক কাবুলের বাইরের জেলা ও অন্যান্য শহরগুলোতে বসবাস বা ব্যবসা করছেন তারা অবিলম্বে আফগানিস্তান ত্যাগ করুন।
ইরান দূতাবাসের ওই বিবৃতিতে একইসঙ্গে ইরানি নাগরিকদেরকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ‘অপ্রয়োজনে’ আফগানিস্তানে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরান দূতাবাসের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কেবল সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য কাবুলে যাওয়া যাবে।
আফগানিস্তান প্রয়োজনীয় বহু পণ্য ইরান থেকে আমদানি করে থাকে এবং ইরানি নাগরিকরা সাধারণত ব্যবসার কাজে আফগানিস্তানে যান বা দেশটিতে অবস্থান করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর তালেবানের হামলা বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে পড়েছে। এছাড়া তালেবানের হামলার কারণে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার শহরের প্রধান বিমানবন্দরের সকল কার্যক্রম স্থগিতে বাধ্য হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ইরানি নাগরিকদের সতর্ক করে এই বিবৃতি দেওয়া হলো।
এদিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত শহরে তালেবান ও আফগান সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইরান দূতাবাস। আফগানিস্তানের অন্যান্য শহরের তুলনায় হেরাত শহরে ব্যবসার কাজে সবচেয়ে বেশি ইরানি নাগরিক অবস্থান করে থাকেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে কান্দাহারের বিমানবন্দরে রকেট হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ফলে একপর্যায়ে বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কান্দাহার বিমানবন্দরের প্রধান মাসউদ পাশতুন রোববার এএফপি’কে বলেন, শনিবার রাতে বিমানবন্দরে তিনটি রকেট আঘাত হেনেছে। এরমধ্যে দু’টি রকেট রানওয়েতে আঘাত হানে। যার কারণে বিমানবন্দর থেকে শিডিউল অনুযায়ী নির্ধারিত সকল ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে সরকারি বাহিনীর কাছ থেকে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টায় আফগানিস্তানের দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি প্রধান শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র তালেবান যোদ্ধাদের তুমুল লড়াই চলছে। তালেবান যোদ্ধারা কান্দাহার, হেরাত ও লস্কর গাহ শহরের অংশে ঢুকে পড়েছে। বিদেশি সেনাদের আফগানিস্তান ছাড়ার ঘোষণা আসার পর তালেবান ক্রমশ দেশটির গ্রামীণ এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে।