মৃতদের পরিবারকে দুই লাখ রুপি ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। মন্ত্রী ও আমলাদের বন্যাকবলিত এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, বাঁকুড়া, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দুই বর্ধমান।
হুগলিতে বন্যাকবলিতদের উদ্ধারে সেনাও নামাতে হয়েছিল। পাশাপাশি ড্রোনের সাহায্যে বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শন চালানো হচ্ছে। দেখা হচ্ছে, কোথাও কেউ আটকে পড়েছেন কি না। সরকারের তরফ থেকে ত্রাণ দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে।
বিভিন্ন অঞ্চলে রাস্তার উপরে ত্রিপল টাঙিয়ে অস্থায়ী ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে। স্কুল, কলেজেও ত্রাণ শিবির তৈরি হয়েছে।
সোমবার ঘাটালের প্লাবিত অঞ্চল পরিদর্শনে গেছেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রও ছিলেন তার সঙ্গে। সুব্রত সেখানে থেকে অবস্থা পর্যালোচনা করবেন। মঙ্গলবার সেচমন্ত্রী হাওড়ায় উদয়নারায়ণপুরের পরিস্থিতি দেখতে গেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিপর্যয় মোকাবিলা দল ইতোমধ্যে জেলায় জেলায় পৌঁছেছে। তাদের মাধ্যমে আপাতত ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদেরা জানিয়েছেন, সহসাই বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, আরও কিছুদিন বৃষ্টি চলবে। এ বছর গোটা পশ্চিমবঙ্গজুড়েই অতিবৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি না কমলে বন্যার জল নামার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছে প্রশাসন।
কলকাতাতেও রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। বহু এলাকা পানির তলায়। মধ্য আর উত্তর কলকাতায় একাধিক রাস্তা পানির নিচে। মঙ্গলবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। আগামীকাল বুধবার আবারও প্রবল বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।