যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটিতে নিরাপত্তা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি এবং নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এমন নির্দেশনা দিয়েছে দেশটি। এছাড়া ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অফিস শুক্রবার হালনাগাদ করা নির্দেশনায় আফগানিস্তান সফরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘আফগানিস্তানে থাকা সকল ব্রিটিশ নাগরিককে যত দ্রুত সম্ভব দেশটি ত্যাগের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যদি আপনি আফগানিস্তানে থাকেন, তাহলে আপনাকে দ্রুত আফগানিস্তান ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। কারণ দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটতে দেখা যাচ্ছে।’
প্রায় দুই দশকের সংঘাতের পর মার্কিন নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের সময় আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিতে তালেবান যোদ্ধারা ব্যাপক লড়াই শুরু করার পর এমন সতর্কবার্তা ঘোষণা করা হলো। এছাড়া আফগানিস্তান ছাড়ার পরিকল্পনা নিশ্চিত করতে ব্রিটিশ নাগরিকদের কাবুলে অবস্থিত যুক্তরাজ্যের দূতাবাসে যোগাযোগের জন্য বলা হয়েছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতর জানায়, ‘সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানে আরও শক্তিশালী হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তালেবান যোদ্ধারা হামলার সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিগুলো কাজে লাগাচ্ছে এবং তা আরও জোরদার করছে। এছাড়া আফগানিস্তানজুড়ে পশ্চিমা নাগরিকদের অপহরণের শিকার হওয়ার চরম ঝুঁকি রয়েছে।’
এদিকে শুক্রবার বিকেলে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী জারাঞ্জ দখল করে নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা। বিবিসি বলছে, মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর তালেবান প্রথম কোনো প্রাদেশিক রাজধানীর দখল নিল।
নিমরোজের ডেপুটি গভর্নর রোহ গুল খাইরজাদ বার্তাসংস্থা এএফপি’কে বলেছেন, নিমরোজের প্রাদেশিক রাজধানী জারাঞ্জ নগরী ‘কোনো যুদ্ধ ছাড়াই’ তালেবান যোদ্ধারা দখল করে নিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জারাঞ্জ হচ্ছে ইরান সীমান্তের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বাণিজ্য কেন্দ্র। এই শহরের চারদিকের এলাকা দখল করে নেওয়ার পর তালেবান জারাঞ্জ দখলের জন্য অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল।
তালেবান মিলিশিয়ারা ইতোমধ্যে অর্ধেক আফগানিস্তান নিজেদের দখলে নিয়েছে। এর মধ্যে প্রতিবেশী দুই দেশ পাকিস্তান ও ইরানের সঙ্গে ‘বর্ডার ক্রসিং’ রয়েছে। তালেবান অবশ্য দেশের ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করছে।