জাহাজটিতে থাকা বেশিরভাগ মানুষ মরক্কো, বাংলাদেশ, মিসর ও সিরিয়ার বাসিন্দা। ভূমধ্যসাগরে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধারের কাজে নিয়োজিত জার্মানির বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সি ওয়াচ পরিচালিত জাহাজটি যখননোঙ্গর করে তখন তাদের হাততালি দিতে দেখা যায়।
অনেকে হাত নেড়ে তাদের ইউরোপ পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন সফল হওয়ার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। জাহাজের ডেকে বসে থাকা এসব শরণার্থীর একজন এ সময় একটি প্ল্যাকার্ড উচিয়ে ইউরোপ প্রবেশের মুহূর্ত উদযাপন করেন। ওই প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘ইতালি ভালো’।
রয়টার্স জানাচ্ছে, ভূমধ্যসাগর সাগর থেকে উদ্ধার হওয়া এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীকে এখন অন্য একটি জাহাজে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হবে। সেখানে দুই সপ্তাহ থাকবেন তারা। তবে আগাম সতকর্তার অংশ হিসেবে তাদের সবার করোনা পরীক্ষা করা হবে।
গত রোববার ভূমধ্যসাগরে অতিরিক্ত যাত্রীবাহী একটি কাঠের নৌকা থেকে মোট ৩৯৪ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে সি ওয়াচ ও ইউরোপীয় দাতব্য সংস্থা এসওএস মেডিটেরানি পরিচালিত জাহাজ ওশ্যান ভাইকিং। এরপর জাহাজটি নোঙ্গর করার চেষ্টা চলছিল।
রয়টার্স বলছে, প্রতিদিন আফ্রিকার দেশ লিবিয়া আর তিউনিশিয়া থেকে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার লক্ষ্যে ভূমধ্যসাগরের ঝুকিপূর্ণ পথে পাড়ি জমায় অসংখ্য অভিবাসনপ্রত্যাশী। তাদের কেউ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে, কেউ ফিরে যায় আর কারো হয় সলিলসমাধি।
তবে উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে সাম্প্রতিক কয়েক মাসে এই পথে পাড়ি জমানো মানুষ ও নৌকার সংখ্যা বেড়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা আইওএম-এর হিসাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে চলতি বছরে এমন ১১০০ এর বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।