সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০ কোটি ৪৭ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৩ লাখ ২৫ হাজার।
বুধবার (১১ আগস্ট) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯ হাজার ৯৫৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে ২ হাজারের বেশি। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৩ লাখ ২৫ হাজার ৭২০ জনে।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৭ হাজার ৩১৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৮৫ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি ৪৭ লাখ ২৩ হাজার ৮৬৭ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯৭০ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৬৮ লাখ ৯১ হাজার ৯৩১ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৬৬২ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ হাজার ৪৮ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৮১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৭ লাখ ১৮ হাজার ৮২১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬১৯ জনের।
এদিকে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ১৮৩ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ২৪৫ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ২ লাখ ১৩ হাজার ৩৮৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯০ জনের।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৬৮ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৩১৬ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ২০ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ২৯ হাজার ১৮৩ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৬৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫০৯ জন, রাশিয়ায় ৬৪ লাখ ৯১ হাজার ২৮৮ জন, যুক্তরাজ্যে ৬১ লাখ ১৭ হাজার ৫৪০ জন, ইতালিতে ৪৪ লাখ ৬ হাজার ২৪১ জন, তুরস্কে ৫৯ লাখ ৬৮ হাজার ৮৬৮ জন, স্পেনে ৪৬ লাখ ৪৩ হাজার ৪৫০ জন, জার্মানিতে ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৩৩২ জন এবং মেক্সিকোতে ২৯ লাখ ৭৮ হাজার ৩৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১২ হাজার ৩৫৬ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৬৬ হাজার ৪৪২ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ৩০ হাজার ৫০৩ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৮ হাজার ২৭৩ জন, তুরস্কে ৫২ হাজার ৪৩৭ জন, স্পেনে ৮২ হাজার ২২৭ জন, জার্মানিতে ৯২ হাজার ৩১২ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৯০ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।