বাড়তি মেদ থেকে বাঁচতে নিজের যত্ন নেওয়া শুরু করুন। এতে শরীরের পাশাপাশি ভালো থাকবে মনও। সুস্থ থাকার জন্য ডিটক্সিফিকেশন জরুরি। এর অর্থ হলো শরীর থেকে দূষিত ও ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেওয়া। এই কাজে সাহায্য করতে পারে বিভিন্ন ধরনের পানীয়। ডিটক্সিফিকেশন ও ওজন কমানোর ক্ষেত্রে শসা ভীষণ উপকারী। বিভিন্ন উপায়ে শসা খেয়ে ওজন কমানো সম্ভব।
ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর খাবার ও শরীরচর্চা। ওজন কমানোর জন্য বিশেষজ্ঞরা সবসময় ফল, সবজি এবং পানীয় তালিকায় রাখার পরামর্শ দেন। এর মধ্যে একটি হলো শসার পানীয়। এটি নিয়মিত পান করলে ক্যালরি কমার পাশাপাশি পেটের মেদও কমে যায়।
শসা কীভাবে ওজন কমায়?
পরিচিত সবজি শসা। এটি কাঁচা খাওয়া যায়। শসার সালাদ অনেকের কাছেই প্রিয়। শসায় আছে ভিটামিন সি এবং কে, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ফ্লেভোনয়েডস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফসফরাস। আপনি যদি ওজন কমানোয় জন্য খাবারের তালিকায় শসা যোগ করেন তবে তা হজমশক্তি ভালো রাখার পাশাপাশি দূর করবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও। শসায় কম ক্যালোরি এবং বেশি দ্রবণীয় ফাইবার থাকে।
ডিটক্সিফিকেশন
শসা পাচনতন্ত্র এবং লিভারের কাজ চালিয়ে যেতে সাহায্য করে। এটি সহজেই শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। শসা খেলে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় নেই। তাই নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। শসা খেলে বারবার খাওয়ার ইচ্ছা অনেকটাই কমে যায়, ফলে বাড়তি ওজনের ভয়ও থাকে না। এক জরিপে দেখা গেছে, যারা টানা এক সপ্তাহ শসার পানীয় পান করেছেন, তাদের ওজন কমেছে প্রায় ২-৩ কেজি।
পানির ভারসাম্য বজায় থাকে
শসার জলীয় গঠন কয়েকটি ভিটামিন, খনিজ এবং ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ। ফলে এটি শোষণ করা সহজ হয়। শসায় আছে অন্ত্রের জন্য উপকারী ফাইটোস্ট্রোজেন এবং হজমকারী এনজাইম। এটি শরীর ঠান্ডা রাখে। গরমের সময়ে শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখে।
শসার পানীয় যেভাবে তৈরি করতে যা লাগবে
শসা- ১টি
পানি- ১ গ্লাস
লেবু- প্রয়োজন অনুযায়ী
বিট লবণ- সামান্য।
যেভাবে তৈরি করবেন
শসা ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে পাতলা টুকরো করে কেটে নিন। এবার শসার টুকরাগুলো একটি জার বা কাচের বোতলে রাখুন। এবার এর সঙ্গে কিছু লেবুর টুকরা যোগ করতে পারেন। এর সঙ্গে মেশান পানি। এবার এই পানীয় সারারাত ফ্রিজে রেখে দিন। সকালে উঠে খালি পেটে পান করুন এই ডিটক্স ওয়াটার। এই পানীয় নিয়মিত পান করলে পেটের চর্বি গলবে দ্রুত। এই পানীয় পানের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করুন।