বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা কাতার নিউজ এজেন্সি প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এর আগে মধ্যপ্রাচ্যের অপর দেশ কুয়েতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা আছে আল আতিয়াহর।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদান ও ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে ২০১৭ সালে কাতারের সঙ্গে যাবতীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর।
কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের গ্যাস সমৃদ্ধ এই ক্ষুদ্রায়তনের দেশটির বিরুদ্ধে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথ বিষয়ক নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছিল সৌদি আরব।
কাতার অবশ্য বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল। ফলে, সৌদি আরবসহ ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী চার দেশের এই পদক্ষেপের কারণে নতুন সংকট দেখা দিয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে।
চলতি বছর জানুয়ারি থেকে গলতে শুরু করে সেই সংকটের বরফ। ওই মাসে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের আহ্বান করা এক বৈঠকে কাতারের ওপর থেকে যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মতি জানায় মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ উপসাগরীয় রাষ্ট্র।
সৌদি আরব ও মিশর ইতোমধ্যে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনসহ যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। বাহরাইন যদিও কাতারের সঙ্গে এখনও কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের উদ্যোগ নেয়নি, তবে দেশটির ওপর থেকে বাণিজ্যিক ও ভ্রমণ বিষয়ক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
আগের অবস্থানে অনড় আছে একমাত্র সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা আল জাজিরাকে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে আরও সময়ের প্রয়োজন বলে মনে করছে দেশটি।
সূত্র : আল জাজিরা