রয়টার্সের পরিসংখ্যানে বলা হয়, মঙ্গলবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ১ হাজার ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু ৬ লাখ ২৩ হাজারের মতো। এর আগে গত মার্চের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক ১ হাজার মানুষের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়।
পরিসংখ্যানে আরও বলা হয়, এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত মানুষের মৃত্যু বেড়েছে। গড়ে দেশটিতে দৈনিক মৃত্যু ৭৬৯ জন।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর টিকাদান কার্যক্রম আরও বাড়িয়েছে দেশটি। গত দুই সপ্তাহের তুলনায় যা এখন ১৪ শতাংশ। যদিও হাসপাতালে করোনা রোগীর সংখ্যা গত দুই সপ্তাহের তুলনায় এখন ৭০ শতাংশ ।
এদিকে, বাইডেন প্রশাসন মঙ্গলবার জানায়, যারা বিমান, বাস বা ট্রেনে চলাচল করবে তাদের জন্য মাস্ক পরার বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়েছে।
বুধবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৯টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে আরও জানা যায়, করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখনও বিশ্বের শীর্ষে অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা তিন কোটি ৭৮ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮২ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ ৪০ হাজার ৯৩ জন। এছাড়াও সুস্থ হয়েছেন তিন কোটি দুই লাখ ৮৯ হাজার ৯৮৯ জন।
২০১৯ সালে চীনের উহান থেকে করোনভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যাপী। এরপর বিশ্বের ২২০টি দেশ ও অঞ্চলের মানুষ আক্রান্ত হয় করোনায়। সম্প্রতি বহু দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।