ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশন্সের মহাপরিচালক অজয় সাহাই বলেছেন, তালেবান সড়কপথে বাণিজ্যের পথ বন্ধ করে দিয়েছে এবং ভারত অভিমুখী পণ্য পাকিস্তানে প্রবেশের ট্রানজিট রুটে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে দুবাইয়ের মাধ্যমে আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক লেনদেন অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
আফগানিস্তানের নিরপেক্ষ কোনো সূত্র থেকে ভারতীয় কর্মকর্তার এ দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি। গত রোববার (১৫ আগস্ট) রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করার পর তালেবান তাদের দেশের পুনর্গঠনের কাজে ভূমিকা রাখার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ভারতের অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখার আগ্রহ প্রকাশ করে। তবে একইসঙ্গে আফগানিস্তানে কোনো সামরিক অভিলাষের বিষয়ে নয়াদিল্লিকে সতর্ক করে দেয় তালেবান।
এদিকে, আফগানিস্তানের কান্দাহার ও হেরাতে ভারতীয় দূতাবাসে লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ সময় দূতাবাস থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ও গাড়ি ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
জানা গেছে, আফগানিস্তানে ভারতের চারটি দূতাবাস রয়েছে। কাবুল ছাড়াও কান্দাহার, হেরাত ও মাজার-ই-শরিফে ভারতের দূতাবাসগুলো কাজ করে। তালেবান ক্ষমতা দখল করার আগেই সংঘাতের সম্ভাবনা বুঝতে পেরে এই দূতাবাসগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত।
অপরদিকে, আফগানদের প্রবেশ ঠেকাতে তুরস্ক লাগোয়া সীমান্তে ৪০ কিলোমিটারজুড়ে প্রতিরক্ষা বেষ্টনী দিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছে গ্রিস। শুক্রবার (২০ আগস্ট) দেশটির নাগরিক সুরক্ষামন্ত্রী মিচালিস ক্রিসোচোইডিস বলেন, আমরা বিরুপ প্রভাবের জন্য অপেক্ষা করতে পারি না। আমাদের সীমানা অলঙ্ঘনীয় থাকবে।