উইকেটে যখন এসেছেন, তখন তার দল পাকিস্তান উইন্ডিজের পেসে রীতিমতো কাঁপছে। দুই রান তুলতেই নেই হয়ে গেছে তিন উইকেট। এরপর বাবর আজমকে সঙ্গে নিয়ে গড়লেন প্রাথমিক প্রতিরোধ। কিন্তু যখনই মাইলফলক ছোঁয়ার সময়টা কাছাকাছি চলে এল, তখনই এক মাংসপেশীর টানে ‘আহত অবসর’ হয়ে গেলেন মাঠ থেকে ছিটকে।
তবে দলের প্রয়োজনে আবারও ফিরলেন ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর। এবার আর কোনো বাধা থামাতে পারেনি তাকে তুলেই নিলেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি। তাতেই ঢুকে গেলেন ইতিহাসের পাতায়।
এর আগে নিউজিল্যান্ড সফর দিয়ে গেল বছর ফিরেছিলেন টেস্ট দলে। সেই সিরিজে ১০২ রানের ইনিংস খেলে জানান দিয়েছিলেন আগমনী বার্তা। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজেই করলেন আরও দুটো, যথাক্রমে ১০৯ আর ১৪০। এবার উইন্ডিজের বিপক্ষে ১২৪ রানের অনবদ্য এই ইনিংস। ১১ বছরের ‘বিরতির’ আগে এক আর এরপরের চারটা সেঞ্চুরি করে গড়ে ফেলেছেন রেকর্ড।
ক্যারিয়ারে সবচেয়ে কম টেস্টে ৫ সেঞ্চুরির এশিয়ান রেকর্ড এখন চলে এসেছে তার দখলে। পাঁচটি সেঞ্চুরি হাঁকাতে তিনি খেলেছেন ২২টি ইনিংস। যার কাছে ছিল এই রেকর্ড, সেই পূজারার এই কীর্তি গড়তে সময় লেগেছিল ২৪ ইনিংস। ফাওয়াদের এই কীর্তির পথে ভেঙে গেছে দুই ভারতীয় কিংবদন্তি সৌরভ গাঙ্গুলী ও সুনীল গাভাস্কারের রেকর্ডও। দুজনেই ২৫ ইনিংসে এই কীর্তি গড়েছিলেন।