দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে রোববারের এ ভাষণে তিনি বলেন, “সামনে আমাদেরকে এখনো কিছু দুর্ভোগ পোহাতে হলেও সুদিন আবার ফিরবে এ আশায় বুক বাঁধুন। আমরা আবারো বন্ধু-বান্ধবদের কাছে ফিরব, পরিবারের সঙ্গে একাত্ম হব, দেখা-সাক্ষাৎ করব।”
সংকটের এ সময়ে জীবন বাজি রেখে আক্রান্তদের যারা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সেইসব স্বাস্থ্যকর্মীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের প্রশংসাও করেছেন রানি।
তাছাড়া, সরকারের নিয়ম মেনে যারা বাড়িতে থাকছেন এবং যারা একযোগে এগিয়ে এসে অন্যদেরকে সহায়তা করছেন তাদেরকেও রানি ধন্যবাদ জানান।
আগের যে কোনো চ্যালেঞ্জের তুলনায় এবার জাতি এক ভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে উল্লেখ করে রানি বলেন, “এবার আমরা বিশ্বজুড়ে সব দেশের সঙ্গে একই প্রচেষ্টায় সামিল হয়েছি। বিজ্ঞানের প্রভূত অগ্রগতি এবং সেরে ওঠার জন্য একের প্রতি অন্যের সহজাত সহমর্মিতা, একাত্মতার মধ্যে দিয়ে আমরা সফল হব। সে সাফল্য আমাদের সবারই।”
রানি আরো বলেন, “সরকারের নির্দেশনা মেনে যারা এ সময়ে ঘরে থাকছেন তারা করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকিয়ে অন্যকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করছেন। এতে অনেক পরিবার প্রিয়জন হারানোর কষ্ট থেকে রেহাই পাচ্ছে। যে কষ্ট এরই মধ্যেই অনেক পরিবারকেই হয়ত ভোগ করতে হয়েছে। আমরা সবাই একসঙ্গে মিলে এই রোগ মোকবেলা করছি এবং আমি আপনাদেরকে আবারো আশ্বাস দিয়ে বলতে চাই যে, আমরা যদি একতাবদ্ধ এবং সঙ্কল্পবব্ধ থাকি তাহলে আমরা এ সঙ্কটকে জয় করতে পারব।”
যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৩৪ জনে। এ পরিস্থিতিতেই জাতির উদ্দেশে বিশেষ এ ভাষণ দিলেন রানি। রোববার টিভি, রেডিও ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি প্রচার করা হয়েছে।