তালেবানকে স্বীকৃতি দিতে পরিকল্পনা জি-৭ নেতাদের

তালেবানকে স্বীকৃতি দিতে পরিকল্পনা জি-৭ নেতাদের
তালেবানকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতির দিতে শিল্পোন্নত ৭টি দেশের জোট জি-৭ নেতারা ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছেন।

গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানে গণি সরকারের পতনের পর তালেবানের পুনরুত্থানে এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিকে বিশ্ব রাজনীতির বড় কৌশল হিসেবে দেখছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।

মানবাধিকার লঙ্ঘন, নৃশংসতার অভিযোগে তালেবানকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ বিশ্বের অনেক ক্ষমতাধর রাষ্ট্র। তালেবানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয়টি পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত দেশটিতে সব ধরনের সহযোগিতা স্থগিত করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, জি-৭ এর স্বীকৃতি পেলে আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক সহায়তার দুয়ার খুলতে শুরু হবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা, জাপান- শিল্পোন্নত সাতটি দেশের নেতারা ভার্চুয়াল বৈঠকে তালেবান সরকারের স্বীকৃতির জন্য করণীয় নির্ধারণ করছেন। জি-৭ জোট নেতারা বলছেন, আন্তর্জাতিক ইস্যুতে নমনীয়তার পাশাপাশি নারী অধিকারকে স্বীকৃতি দিলে তবেই তারা তালেবানকে স্বীকৃতি দেবে।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত কারেন পিয়ার্স রয়টার্সকে বলেন, ‘তালেবানকে স্বীকৃতি দিতে ও চলমান সঙ্কট নিরসনে একযোগে কাজ করতে বৈঠক করছেন জি-৭ নেতারা। পাশাপাশি দেশটিতে বৈদেশিক সাহায্য কিভাবে বাড়ানো যায় সেদিকটিও বিবেচনা করা হবে।’

দীর্ঘ ২১ বছর পর আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হলে দেশটিতে সহিংসতা মারাত্মক রূপ ধারণ করে। তালেবান একে একে প্রদেশগুলো দখল করে নিতে থাকে, কোণঠাঁসা হয়ে পড়ে ন্যাটোবাহিনী। তারপর ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল দখল করে নেয় তালেবান। পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। এখন দেশটি থেকে বিদেশি কূটনীতিক ও কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিতে তৎপরতা চলছে। তালেবানের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজারো মানুষ। তিনি জানান, একইসঙ্গে আফগান শরণার্থীদের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে উঠে এসেছে এ বৈঠকে। তাদের পুনর্বাসন, নিরাপত্তা ও মানবিক সাহায্য নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারিত করার উদ্যোগ নেবে জি-৭।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে তারা আফগানিস্তান সব মার্কিন কর্মকর্তা ও নাগরিকদের বের করে নিয়ে আসবেন।

তবে জি-৭ নেতারা এই সময়সীমা বাড়ানোর জন্য আলোচনা করছেন।

পশ্চিমা দেশগুলোর নাগরিকদের বের করে নেওয়ার জন্যব্রিটেন ও ফ্রান্স সময় বাড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছে। তবে তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নিজ দেশের নাগরিকদের সরিয়ে নিতে নতুন করে কোনো আবেদন হয়নি ওই দেশগুলো থেকে। আর সময় বাড়ানো সম্ভব না।

কারেন পিয়ার্স বলেন, ‘আমরা একসাথে কাজ করতে চাই। আমরা কেউ চাই না, আফগানিস্তান সন্ত্রাসবাদের প্রজননস্থল হোক। আমরা চাই না , আবারও ১/১১ -এর মতো অবস্থায় চলে যাক দেশটি।’

জার্মানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তার জন্য জার্মানি জি-৭ অংশীদারদের অতিরিক্ত তহবিল প্রদানে চাপ দেবে। ’

তিনি বলেন, ‘আফগানদের কষ্ট লাঘবের জন্য আমাদের খুব দ্রুত সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে । জি-৭কে আরও দায়িত্ববান হতে হবে।’

বাইডেন গত রোববার সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তালেবানদের সঙ্গে কাজ করছে। কিন্তু ইসলামপন্থী দলটি দীর্ঘমেয়াদে বৈধতা খুঁজছে। এর অর্থ দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনৈতিক সহায়তা, বাণিজ্য এবং বিভিন্ন বিষয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সাহায্য চাইছে তারা।’

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পেট্রোল-ডিজেলের নতুন দাম ঘোষণা
ভিসা ছাড়াই যুক্তরাজ্যে যেতে পারবে মুসলিম ৬ দেশ
মারা গেছেন পণ্ডিত ভবানী শঙ্কর
২০২৩ এ আলোচিত বিশ্বের সেরা ১০ ঘটনা
ব্রিকসে যোগ দেবে না আর্জেন্টিনা
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিশ্ববাসী
১০ টাকাতেই মিলবে বই
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট
সৌদি আরবে আরো একটি স্বর্ণের খনির সন্ধান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া