কয়েক মাস ধরে অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ এবং বাড়ির দাম বেড়ে গেছে দেশটিতে। এর নিয়ন্ত্রণে টানতেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
আসলে বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো কোভিডের প্রভাবে সৃষ্টি হওয়া উচ্চ মূল্যস্ফীতির মতো অর্থনৈতিক ঝুঁকির বিরুদ্ধে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করছে। বাড়তি ঋণ এবং ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ঝুঁকির সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার–সহায়তার ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর তাই এ সিদ্ধান্ত।
গত মে মাসেই এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির নীতিনির্ধারকেরা ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন যে ঋণ গ্রহণের খরচ বাড়াতে প্রস্তুত তারা। তবে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়ায় গত মাসে আংশিক লকডাউন যেতে হয় দেশটিকে। তাই পদক্ষেপ নিতে একটু বিলম্ব হয়। মে মাসে দেশটির মূল্যস্ফীতি প্রথম সর্বোচ্চ অবস্থানে ওঠে। এরপর প্রতি মাসেই তা বেড়েছে। জুলাইতে ভোক্তা মূল্য সূচক দাঁড়ায় ২ দশমিক ৬ শতাংশে। এই সূচক ২ শতাংশে রাখার লক্ষ্য দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।
এশিয়ার মধ্যে শ্রীলঙ্কা গত সপ্তাহে এই অঞ্চলের প্রথম দেশ হিসেবে সুদের হার বাড়িয়েছে। এ ছাড়াও গত সপ্তাহে নিউজিল্যান্ডও সুদের হার বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে।