কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, বেসরকারি খাতে ঋণবিনিয়োগ প্রবাহের গতিধারা স্বাভাবিক রাখার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বাণিজ্য সমুন্নত রাখার জন্য এ সুবিধা। এর ফলে চলতি বছরের জানুয়ারি হতে ডিসেম্বরের মধ্যে আর কোনো ঋণ খেলাপি হবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের নেতিবাচক প্রভাব প্রলম্বিত হওয়ায় চলমান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিশীলতা বজায় রাখা এবং বেসরকারি খাতে ঋণবিনিয়োগে প্রবাহের গতিধারা স্বাভাবিক রেখে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বাণিজ্য সমুন্নতের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি হতে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তির ২৫ শতাংশ জমা দেওয়ার পর কিস্তির বাকি ৭৫ শতাংশ পরবর্তী এক বছরের মধ্যে জমা দিতে হবে। এ ঋণ পরিশোধ করা হলে উক্ত সময়ে ঋণ, বিনিয়োগসমূহ বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। অন্যান্য কিস্তি যথাসময়ে পরিশোধ করতে হবে।’
এর আগে ৩০ জুন পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে ঋণ পরিশোধে সময়সীমা বেধে দিয়েছিলে বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন বলা হয়েছিল, ঋণের যেসব কিস্তি ৩০ জুনের মধ্যে বকেয়া হবে, সেসব ঋণ বা ঋণের কিস্তির কমপক্ষে ২০ শতাংশ ৩১ আগস্টের মধ্যে পরিশোধ করলে সেটা ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবে না।