কিউবার অফিশিয়াল গেজেটে প্রকাশিত একটি রেজল্যুশনে বলা হয়েছে, ডিজিটাল মুদ্রার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ম ও বিধি প্রণয়ন করবে। ব্যাংকটি ক্রিপ্টোকারেন্সি পরিষেবা প্রদানকারীদের অনুমোদনের জন্য একটি আইনি কাঠামো তৈরি করবে। এর মাধ্যমে অবৈধ উদ্দেশ্যে মুদ্রাগুলোর ব্যবহার ঠেকাতে চাইছে দেশটি।
দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি রেজল্যুশনে বলেছে, আর্থসামাজিক সুফলের কারণে কিউবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক লেনদেনে কিছু ভার্চুয়াল সম্পদ ব্যবহারের অনুমোদন দিতে পারে। এজন্য আর্থিক, বিনিময় ও সংগ্রহ কিংবা পেমেন্ট কার্যক্রমের জন্য ভার্চুয়াল সম্পদ পরিষেবা দেয়া প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দিতে পারে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য আইনি সত্তা আর্থিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শুধু তাদের ও ব্যক্তিদের মধ্যে ভার্চুয়াল মুদ্রা আদান-প্রদান করতে পারবে।
বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ভার্চুয়াল মুদ্রার অনুমানমূলক প্রকৃতি, মূল্য ও নিয়ন্ত্রক তদারকির অভাবের কারণে ক্রিপ্টোকারেন্সির অনুমোদন দিতে অনিচ্ছুক।
গত মাসে একটি প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক অব ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টস বলেছিল, ক্রিপ্টোকারেন্সি অপরাধমূলক কার্যক্রমকে সক্রিয় করতে পারে এবং জনস্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে।
সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম গত এপ্রিলে সর্বোচ্চ ৬৫ হাজার ডলার উচ্চতায় পৌঁছেছিল। পরের মাসে এটির দাম অর্ধেক হারিয়ে ৩২ হাজারে নেমে গিয়েছিল। এরপর কয়েকদিন ধরে বিটকয়েনের দাম ৫০ হাজার ডলারের কাছাকাছি ওঠা-নামা করছে।
চীনে ক্র্যাকডাউন নিয়ে উদ্বেগ এবং খনির কাজে জ্বালানির ব্যবহার নিয়ে টেসলার প্রধান নির্বাহী বিলিয়নেয়ার ইলোন মাস্ক প্রশ্ন তোলায় কয়েক মাস ধরে রেকর্ড উচ্চতা থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে পড়ে যায় বিটকয়েনের দাম। তবে গত সপ্তাহে পেপাল তাদের যুক্তরাজ্যের কার্যক্রমে বিটকয়েন ব্যবহারের অনুমোদন দেয়ায় আবার ৫০ হাজার ডলারের উপরে উঠে যায় ভার্চুয়াল এ মুদ্রার দাম।
কিউবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহাকারীদের নাম প্রকাশ না করার কারণে এটিকে অপরাধমূলক কার্যক্রমে অর্থায়নের জন্য ব্যবহার করার সম্ভাবনা রয়েছে।