জাপানের টিকাদান কর্মসূচির শীর্ষ নির্বাহী তারো কোনো এ তথ্য জানিয়েছেন। রোববার দেশটির সংবাদমাধ্যম ফুজি টেলিভিশন নেটওয়ার্ককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারো কোনো বলেন, ‘আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি, টিকাদান কর্মসূচিতে প্রথম ডোজে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও দ্বিতীয় ডোজে ফাইজার-বায়োএনটেক বা মডার্নার টিকা দেওয়া হলে টিকাদানের গতি বাড়বে। মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতিও দেওয়া হয়েছে।’
সাক্ষাৎকারে তিনি তার প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজের মধ্যকার বিরতির মেয়াদ আট সপ্তাহ, যা অন্যান্য কোম্পানির দুই ডোজের টিকার বিরতির তুলনায় অনেক বেশি। ফলে, জাপানে যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদেরকে যদি দ্বিতীয় ডোজে ফাইজার বা মডার্নার টিকা দেওয়া হয়, তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বেশি মানুষ টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করতে পারবেন।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, টিকার প্রথম ডোজে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও দ্বিতীয় ডোজে ফাইজার বা মডার্নার টিকা দেওয়া হলে টিকা গ্রহণকারীর দেহে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে।
২০২০ সালে করোনা মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত জাপানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩৭০ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন মোট ১৫ হাজার ৮৯৬ জন।
তবে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টার প্রভাবে সম্প্রতি জাপানে ব্যাপকভাবে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাস ধরে জাপানে প্রতিদিন গড়ে ২৫ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
চলতি বছর জানুয়ারি থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে জাপান। এই কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হচ্ছে করোনা টিকা ফাইজার, মডার্না ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাপানের মোট প্রাপ্ত বয়স্ক জনসংখ্যার ৪৩ শতাংশ টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন এবং টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৪ শতাংশ।
সূত্র : রয়টার্স