তালেবানের ক্ষমতা দখলে ন্যাটো দেশগুলো আফগানিস্তানে নিজেদের কূটনৈতিক মিশন গুটিয়ে নিয়েছে। তুরস্কও ‘কারিগরি দল’ বর্ণনা করে কিছু মানুষকে রেখে তাদের বেসামরিক নাগরিক ও সেনাদের আফগানিস্তান থেকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে।
রোববার (২৯ আগস্ট) মন্টিনিগ্রো থেকে ফেরার পথে একটি ফ্লাইটে তুর্কি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এরদোয়ান বলেন, ‘বিমানবন্দর থেকে বিগত দুই সপ্তাহ নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করার পর কাবুলে তুরস্কের দূতাবাসটি শহরের তার ভবনে স্থানান্তরিত হয়েছে।’
আল-জাজিরার প্রতিবদন অনুযায়ী তাকে উদ্ধৃত করে সম্প্রচারমাধ্যম এনটিভি জানিয়েছে, ‘তারা এতদিন বিমানবন্দরে কাজ করলেও ফের শহরের কেন্দ্রে আমাদের দূতাবাস ভবনে ফিরে এসেছে এবং তারা সেখান থেকেই এখন তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।’
সম্প্রচারমাধ্যম এনটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী এরদোয়া বলেছেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা এখন এভাবেই আমাদের কূটনৈতিক উপস্থিতি বজায় রাখা। নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে তার ওপর ভিত্তি করে আমরা পরিকল্পনা পরিবর্তন করছি।
এরদোয়ান বলছেন, কাবুলের ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেওয়ার পর তারা এখন পর্যন্ত যেসব প্রতিশ্রুতি বা বিবৃতি দিয়েছে, আমরা সেসব নিয়ে আশাবাদী এবং একইসঙ্গে সতর্ক। আমরা দেখতে চাই বাস্তবে তাদের এসব প্রতিশ্রুতির কতটা বাস্তবায়ন হয়।