ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-ইভেস লে দ্রিয়ান ফ্রান্স ২ টেলিভিশনকে বলেছেন, এসব আলোচনার লক্ষ্য যত দ্রুত সম্ভব কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যেন আফগানিস্তান ছাড়তে চাওয়া লোকজন বাণিজ্যিক ফ্লাইট ব্যবহার করে বের হতে পারেন।
তিনি বলেন, (কাবুল) বিমানবন্দর সুরক্ষিত করার বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে হবে। বিমানবন্দরটির ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাতারি ও তুর্কিদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এর ব্যবহার যেন নিরাপদ হয়, আমাদের অবশ্যই সেই দাবি জানাতে হবে।
তুরস্ক কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে, এমন খবর গত জুলাইয়েই শোনা গিয়েছিল। ইরানি সংবাদমাধ্যম পার্স টুডের খবর অনুসারে, এ বিষয়ে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
তিনি বলেছিলেন, আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের কারণে সেখানে নিরাপত্তা হুমকি বাড়ছে। তুর্কি সেনারা কীভাবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষা করবে সেসব বিষয় নিয়ে সমঝোতা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।
৩১ আগস্ট আফগানিস্তান সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আগেই তুরস্ক কাবুল বিমানবন্দরের দায়িত্ব নেবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু গত ১৫ আগস্ট তালেবান অনেকটা বিনাবাধায় আফগান রাজধানীর দখল নিলে বিষয়টি বাস্তবায়িত হওয়া নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। তবে চলতি সপ্তাহে প্রথমবারের মতো তালেবানের সঙ্গে বৈঠক হয় তুর্কি কর্তৃপক্ষের।
গত শুক্রবার (২৭ আগস্ট) প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, কাবুলে আমরা প্রথমবারের মতো তালেবানের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়েছে। প্রয়োজনে আমরা আরও বৈঠকে বসতে রাজি। এসময় কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করছেন বলেও জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
ন্যাটোর সদস্য হিসেবে তুরস্কের শত শত সেনা প্রায় ছয় বছর ধরে কাবুল বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। ফরাসি মন্ত্রী লে দ্রিয়ানের ভাষ্যমতে, সেই তুরস্কই তালেবান-নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানেও কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনার দায়িত্ব পাচ্ছে।